চন্দ্রঘোনায় চম্পাকুঁড়ি ও কানাডা খেলাঘর আসরের ত্রাণ সহায়তা

‘হাত বাড়িয়ে নয়, আজ মন বাড়িয়ে পাশে থাকি’- এই স্লোগান কে হৃদয়ে ধারণ করে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘর এর কানাডা শাখার আর্থিক সহযোগিতায় ও রাংগামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসর-এর সমন্বয়ে চন্দ্রঘোনা কেপিএম এলাকায় বসবাসরত দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী ৮৫ টি পরিবারের মাঝে ঈদের উপহারস্বরূপ কিছু খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মে) চন্দ্রঘোনাস্থ ঐতিহ্যবাহী শিশু-কিশোর সংগঠন চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসর কার্যালয়ে যথাযথভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পরিবারগুলোর মাঝে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন, সহ-সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, অর্ণব মল্লিক, দপ্তর সম্পাদক মেহেরাজ হোসেন, কেপিএম এর কর্মকর্তা প্রকৌশলী কামাল হোসেন, কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী মোশারফ হোসেন সহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় উপহার সামগ্রী হাতে পেয়ে অনেকের চোখে মুখে আনন্দের হাসি ফোটে এবং তারা খেলাঘর কানাডা এবং চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এই প্রতিবেদকের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা হলে কানাডায় অবস্থানরত খেলাঘর কানাডার আহবায়ক চন্দ্রঘোনা চম্পাঁকুড়ি খেলাঘর আসর এর সাবেক সাধারন সম্পাদক জামিল বিন খলিল জানান, কানাডায় অবস্থান করলেও চন্দ্রঘোনা এবং চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের কথা প্রতিনিয়ত তিনি স্মরণ করেন। তিনি আরো জানান, চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই সংগঠনের সাথে তার পরম আত্মীয়তা। দেশের বাইরে থাকলেও তিনি এই চম্পাকুঁড়ির সাথে আত্মিকভাবে জড়িত। চন্দ্রঘোনার মানুষের সাথে রয়েছে তাঁর আত্মার সম্পর্ক এবং এই ক্রান্তিলগ্নে চন্দ্রঘোনায় বসবাসরত কিছু পরিবারের পাশে খুবই স্বল্প পরিসরে হলেও দাঁড়াতে পেরে তিনি আনন্দিত।
খেলাঘর কানাডা’র সদস্য সচিব শাপলা শালুক এই উদ্যোগের প্রতিটি পর্যায়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের জন্য চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞ্যাপন করেন। চন্দ্রঘোনায় বসবাসরত চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের আওতাধীন কিছু পরিবারে সামান্য কিছু উপহার সামগ্রী দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে বলে জানান। শাপলা শালুক এই উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় খেলাঘর কানাডা’র অন্যতম সংগঠক ফরিদা হকের প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং সহ-সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন খেলাঘর কানাডা-কে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, করোনার এই দুঃসময়ে এই ধরনের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে এবং খেলাঘর কানাডা’র যে কোন উদ্যোগের সাথে চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসর সার্বিক সহযোগিতা করে যাবে। তিনি উপহার সামগ্রী পাওয়া পরিবার ও চম্পাকুঁড়ি খেলাঘর আসরের পক্ষ থেকে খেলাঘর কানাডা’র সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান এবং এই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।