ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে পার্বত্য শহর রাঙামাটি। পাহাড়ধসের নয়দিন পর ১২০ জনের মৃত্যু,২ শতাধিক আহত এবং শতাধিক বাড়ীঘর মাটির নীচে চাপা পড়ার পর যে বিভিষীকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো,তা এখন অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রনে। স্থানীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং জ্বালানি তেলের বাজারে যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছিলো মজুদ ও সরবরাহের অনিশ্চয়তায়,প্রশাসনের তড়িৎ কার্যকর পদক্ষেপে তাও এখন সম্পূর্ণই স্থিতিশীল।
যে বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিয়েই হাহুতাশ সবচে বেশি,সেই সড়ক যোগাযোগ বুধবার থেকে হালকা যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিং-এ রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রান ও অর্থ এসেছে,অযথা ত্রান নিয়ে কোন সংকট দেখাবেন না। যারা বিভিন্নস্থানে ত্রান সংগ্রহ করছেন, সেটাও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যেই প্রায় ৫৩১ মেট্্িরকটন চাল বরাদ্দ এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই সাথে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন, কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ত্রান কার্যক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে,সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ করা হচ্ছে,এটা খুবই দু:খজনক। তিনি সবাইকে এই ক্রান্তিকালে মানবিক আচরণ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ যারা দিনরাত পরিশ্রম করছে তাদের মানসিক আঘাত দেয়,কষ্ট বাড়ায়। জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা ১ দিনের শিশু থেকে গর্ভবর্তী মা সবার আলাদা তালিকা তৈরি করে,যার যার বয়স ও প্রয়োজন অনুসারেই খাদ্য ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহ করছি। এমনকি সেনেটারি ন্যাপকিনও দিচ্ছি।
তিনি বলেন, রাঙামাটিতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের কথা যারা প্রচার করছেন,তাদের অনুরোধ করি, আপনারা এসে দেখে যান,রাঙামাটির মানুষ সম্মিলিতভাবে কিভাবে দুর্যোগকে মোকাবেলা করছে। কোন প্রকার অপপ্রচার না করার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে রাঙামাটির বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এবং দ্রব্যমূল্য যেনো কেউ বাড়তি দামে বিক্রি করতে না পারে সেই জন্য মঙ্গলবারও জেলা শহরের রিজার্ভবাজার,বনরূপা,তবলছড়ি এবং কলেজগেইট এলাকায় সক্রিয় দেখা গেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতকে। তারা কখনো দলবেঁধে আবার কখনো ছদ্মবেশে বাজারে মনিটরিং করতে দেখা গেছে।
শহরের ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে,কারোই তেমন কোন অভিযাগ নেই। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতরা জানিয়েছেন, তাদের খাবার ও পানির কোন সমস্যা নেই,তবে অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়েই উদ্বিগ্ন তারা।
এদিকে রাঙামাটিতে স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দেয়া হচ্ছে ত্রান সহায়তা।
অন্যদিকে নৌরুটের যোগাযোগই শহরের খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের মোটামুটি সুরাহা হয়েছে। শহরের বিভিন্নস্থানে গিয়ে বেশ কয়েকটি জ্বালানি তেলের সংকটে গোপনে অনুসন্ধান চালিয়ে,সঠিক দামে জ্বালানি তেল ও গ্যাস বিক্রি করতে দেখা গেছে।
5 Comments
Nice…..
রাঙাগামাটির মধ্যে এই জায়গাটা কোথায়?
রাঙামাটির শহরে এই সুন্দর দৃশ্যটি কোন জায়গাতে!
আরণ্যক রিসোর্ট
thanks.