সেল্ফ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় ঠিক একদম খবরের কাজে বের হই না। বাসায় বসেই টুকিটাকি কাজ সারি। সোমবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এক বড় ভাই ছবি পাঠাল। ছবিদেখে তাৎপর্য বুঝিনি। পরে জানতে চাইলে জানালেন, তিনি সরেজমিন দেখেছেন টিনের ঘরে বাস করা মানুষ ত্রাণ পায়নি; অথচ বিল্ডিং ওয়ালারা ত্রাণ পেয়েছেন। মূলতঃ দুঃখপ্রকাশ করেই বড়ভাই/সহকর্মী ব্যাপারটি অবগত করলেন। রাতে আরেক বড় বোনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে পড়লাম ত্রাণ বিতরণে নাকি বৈষম্য হচ্ছে। বাদ পায়নি নিম্নআয়ের মানুষগুলো, পেয়েছে বিত্তশালীরাও। অথচ এই ত্রাণ গরীবদের জন্যই। আসলে দেশের এই ক্রান্তিকালে মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করার সময় এসেছে।
আন্তরিকভাবে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। এখনই সময় এ সমাজের, দেশের খেয়ে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষের দাঁড়ানোর। অথচ আমরা সেই মানবিকতাকে ভুলে গরীবের প্রাণ সামান্য ত্রাণ বিত্তরাও নিচ্ছি। ভাবছি না অসহায় এসব মানুষের কথা! আজকের একটি জাতীয় পত্রিকার প্রধান খবরে পড়লাম গোটা দেশে প্রায় দুই কোটি শ্রমিক-কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই দুই কোটি শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে পাহাড়, হ্রদঘেরা রাঙামাটির শ্রমিক কর্মচারী ভাই-বোনরাও রয়েছে। এবার আপনি ভাবুন; উত্তর দিন এদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আমার আপনার নয় কী? তাই আসুন এই সংকটময়কালে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিই। সকল ভেদাভেদভুলো মানবজাতির কল্যাণে এগিয়ে আসি। আমরা সবাই যেন শপথ করি, গরীবের প্রাণ কেড়ে নিব না…
লেখকঃ গণমাধ্যমকর্মী