
মো. জাহাঙ্গীর আলম সবুজ। গত ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুর মেহেদী অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হন। মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে রাত সাড়ে দশটায় মুঠোফোনে কথাও বলেছিলেন স্ত্রী আক্তারির সাথে। পরে রাতে স্বামীকে ফোন দিয়েও আর পেলেন না আক্তারি বেগম। পরদিন আত্মীয়-স্বজনের কাছে খবর নিয়েও স্বামীর খোঁজ না পাওয়ায় ঘটনার দুইদিন পর নিজেই বাদী হয়ে থানায় ডায়েরি করেন আক্তারি বেগম।
নিখোঁজের সময় যতবেশি ক্ষেপণ হচ্ছে স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আশা তত ক্ষীণ হচ্ছে আক্তারির। কিন্তু নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলেও নিখোঁজ স্বামীকে উদ্ধারে পুলিশের তেমন উদ্যোগ নেই বলে তার অভিযোগ।
নিখোঁজ সবুজ তাঁর পরিবার নিয়ে রাঙামাটি শহরের পুরানবস্তি এলাকায় বসবাস করতো। ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী মো. আব্দুস সত্তারের ছোট ছেলে সবুজ। বিয়ে করেছেন আট বছর আগে। আট বছরের সংসারে তাদের দেড় বছর বয়সী এক বাচ্চাও আছে। পেশায় সবুজ ছিলো একজন লঞ্চ চালক। চালাতেন নিজ আত্মীয়ের লঞ্চই।
মামলার বাদী ও সবুজের স্ত্রী আক্তারি বেগম জানান, আমাদের বিয়ে হলো আট বছর। এই আট বছরে একদিনের জন্যও বাহিরে থাকেনি সবুজ। গত ১৫ মার্চ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় বন্ধুর মেহেদী অনুষ্ঠান যান তিনি। অনুষ্ঠান থেকে আমার সাথে একবার কথাও বললেন তিনি। বললেন যতরাত হোক তিনি বাসায় ফিরবেন। পরে রাত এগোরোটার দিকে আমি তাকে ফোন দিলেও আর ফোনে পাইনি। পরদিন আতœীয়-স্বজনের কাছে খরব নিয়েও কোন খোঁজ পাওয়ায় শনিবার আমি নিজে বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
আক্তারি বেগম অভিযোগ করেন থানায় ডায়েরি করার পর সাত পিরিয়ে গেলেও তার স্বামীকে উদ্ধার ও ঘটনার কোন তথ্য উপাত্ত বের করতে পারেনি পুলিশ।
রাঙামাটির কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া জানায়, নিখোঁজ সবুজকে উদ্ধারে আমরা বিভিন্ন জায়গায় তথ্য পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা সবুজের কোনও সন্ধান পাইনি। নিখোঁজ সবুজকে উদ্ধারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওসি।