খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন ইউপিডিএফ (প্রসিত খীসা) গ্রুপের সংগঠক পুলক জ্য্যোতি চাকমা। বুধবার দুপুরে কারাগার হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালের নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শক্তিমান চাকমা ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাসহ একাধিক খুনের মামলার আসামী ছিলেন তিনি। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পূর্ণ জীবন চাকমা জানান, পুলক জ্যোতি চাকমা নামে জেলা কারাগার থেকে এক কয়েদিকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কোন চিকিৎসা দিতে পারেননি। তবে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই ব্যক্তির বুকে ব্যথা ছিল বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মৃত ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুলক জ্যোতি চাকমার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩ মে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শক্তিমান চাকমা ও ৪ মে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমাসহ ৫জনকে হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন থানায় অস্ত্র মামলা রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে খাগড়াছড়ি কারাগারে ছিলেন খাগড়াছড়ির মহাজন পাড়া এলাকার চম্পা লাল চাকমার ছেলে পুলক জ্যোতি চাকমা। পুলক জ্যোতি চাকমা প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ এর খাগড়াছড়ি সদরের সংগঠক ছিলেন।
ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অভিযোগ করেছেন, অবহেলার কারণে তাদের নেতা পুলক জ্যোতি চাকমার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ১২টি মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়। সব কটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও কারোনাকালীন সময়ে তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন তিনি।