
দিনে দিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও এতে সচেতনতার বালাই নেই খাগড়াছড়িতে। জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারি নির্দেশনা প্রতি পালনের চিত্র হতাশজনক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জেলা পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান, জরিমানা, মাইকিং থাকা সত্বেও মানুষ সচেতন হচ্ছেনা।
অধিকাংশ মানুষ এখনো মাস্ক ব্যবহার করছেনা। যারা করছে তাদের অনেকে থুতনির নিচে মাস্ক ব্যবহার করছেন। জেলাজুড়ে মানুষের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। এতে জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংখা দেখা দিয়েছে। লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনে দুর পাল্লার পরিবহন বন্ধ ছাড়া বাকি সব কিছুই অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলছে।
এদিকে খাগড়াছড়িতে নতুন করে আরো ১০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫জন। যাদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে এবং বাকী ৪৩জন নিজ নিজ বাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৫হাজার ৪শ ৫১জনের করোনা পরিক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮৫৫জন ব্যক্তির শরীরে করোনা ধরা পড়ে। ইতিমধ্যে ৮১০জন সুস্থ হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা: নূপুর কান্তি দাশ জানান, মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এখনো সবাই স্বাস্থ্যবিধি ভালো করে মানছেননা। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা রয়েছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানান।
,
কথা ছিল সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী কাঁচা বাজার, মুদি দোকানসহ জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্টান ছাড়া বাকী সব বন্ধ থাকবে। তবে এই নির্দেশনা মানছেননা খাগড়াছড়ির অধিকাংশ ব্যবসায়ী। দোকান কিছুটা খোলা রেখে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছেন তারা। হাটবাজারেও মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে তৎপর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। গতকাল জেলায় ভ্রাম্মমান আদালত ১৩৯টি মামলায় ৩২হাজার ৮০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ভ্রাম্মমান আদালত দেখলেই মানুষ মাস্ক মুখে দেয়। কিন্তু সব সময় পড়ার বিষয়টি উপেক্ষিত। করোনার সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার মাঝেও মানুষের মধ্যে সচেতনতার হার খুব কম। নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা মারা জরুরী বলেও জানান তিনি।