খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া এলাকায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক ত্রিপুরা কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে বখাটোরা। নিহত কিশোরীর নাম ধনিতা ত্রিপুরা (১৮)। সোমবার গভীর রাতে খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার দুর্গম বড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরী ওই গ্রামের নলমোহন ত্রিপুরার মেয়ে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত কমল ত্রিপুরা, রনেল ত্রিপুরা ও কিরণ ত্রিপুরা নামের তিন যুবককে আটক করা হয়।
কিশোরীর স্বজনরা জানান, বেশ কিছুদিন আগ থেকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো এলাকার বখাটে যুবক কমল ত্রিপুরা। বৈসাবী উৎসব চলাকালীন সময়েও সে ধনিতাকে বিয়ে করার জন্য তার মা’কে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু কিশোরী বিয়েতে রাজী না হওয়ায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়। সোমবার ধনিতা ত্রিপুরা মা দীঘিনালা বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ধনিতা বাড়িতে একা পেয়ে রাতে বখাটে কমল ত্রিপুরা তার দুই বন্ধু রনেল ত্রিপুরা ও কিরণ ত্রিপুরা তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে।
এর আগে তারা এসময় মদ্যপ অবস্থায় ধনিতার বাড়ি থেকে বখাটে কমল ত্রিপুরা ধনিতার মাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার সকালে গ্রামবাসী ধনিতার বাড়িতে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধনিতার লাশ উদ্ধার করে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে বড়পাড়া গ্রামের বখাটে যুবক কমল ত্রিপুরাসহ ৩ বখাটে প্রতিবেশী ধনিতা ত্রিপুরাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় কমল ত্রিপুরা তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ধনিতা ত্রিপুরার বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়। এসময় বাড়িতে একা পেয়ে তারা ধনিতাকে তারা গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।’
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ধর্ষক কমল ত্রিপুরা ও তার বন্ধু রনেল এবং কিরণ ত্রিপুরাকে আটক। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।