আমরা যদি বর্তমান যুব সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেড়ে উঠার পরিবেশ ও তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে না পারি তাহলে আমাদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী হবে না। খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটে এবং দাম্ভিকতা পরিহার করে। করল্যাছড়ি আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন,আমাদের মূল পরিচয় আমরা মানুষ। জাতি ধর্ম বর্ণ সব কিছুর উর্ধ্বে মানুষের পরিচয় সবার আগে এটা ভুলে গেলে চলবে না। আমরা চেষ্টা করবো যাতে মানবিক গুণাবলি আমাদের মধ্যে জেগে ওঠে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার মধ্য থেকে ভালো উপাদানগুলো গ্রহণ করবে। এবং অবশ্যই মন্দ সবকিছু পরিহার করবে। আর স্বপ্ন দেখতে হবে আকাশের মতো বিশাল, তবেই সাধনা পূর্ণতা পাবে। জীবনে বড় কিছু হতে পারো বা নাই পারো ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতান আহাম্মেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির কর্মকর্তা ঝুমা দেওয়ান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহীম প্রমূখ।
এসআইডি-সিএইচটি (জাতিসংঘের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের একটি প্রকল্প)ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমন্ত্রিত অতিথিদেরকেও প্রীতি উপহার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য রমণী চাকমা, ইউএনডিপির অন্যান্য কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।