ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্যের পথে রাঙামাটি দল

৩৮ তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার মৌলভীবাজার ভেন্যুতে রাঙামাটি দীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্যের পথে শুক্রবার শক্তিশালী সুনামগঞ্জ জেলাকে ৩ রানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামনে দাঁড়িয়ে। পরের ম্যাচে রাঙামাটি খাগড়াছড়ি জেলাকে পরাজিত করলে এবং কক্সবাজার সুনামগঞ্জ জেলার কাছে হারলে বা জিতলেও রাঙামাটি রানরেটে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর রাঙামাটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন যদি হয় তা হবে রাঙামাটি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ সাফল্য।

সকালে টসে জিতে সুনামগঞ্জ জেলা রাঙামাটি জেলা দলকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। লো বাউন্স ও স্লো উইকেটে রাঙামাটি শুরু থেকে সতর্ক হয়ে ব্যাটিং করতে থাকে। ওপেনার আবুল কালাম ইমন ও ওসমান গণি ভালো একটি ওপেনিং জুটি গড়ে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। কিন্ত ইমন ১৯ রানে ক্যাচ আউট হওয়ার পর সুনামগঞ্জের স্পিনাররা সকাল বেলার লো বাউন্স ও স্লো উইকেটের সুবিধা নিয়ে চেপে বসে রাঙামাটি ব্যাটসম্যানদের ওপর। এর সাথে যোগ হয় আম্পায়ারের পাঁচ পাঁচটি এলবিডব্লিউর বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। দলের মুল ব্যাটসম্যান ইলিয়াস লেথাম, অধিনায়ক রাজিব, লেমন, জুয়েল আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ আউট হন। ভাস্কর খীসা ও সাদ্দামের প্রচেষ্টায় রাঙামাটি ৪০.৫ বলে ১০৬ রান করে অলআউট হয়। ভাস্কর খীসা ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বিরতিপর সুনামগঞ্জ ব্যাটিংয়ে নেমে রাঙামাটির ইমরান হাসান বাবু ও সাদ্দাম হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে ৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকে। তার সাথে রাঙামাটির জুয়েল, রাজিব ও লেমন উইকেট ভাগাভাগি করলে সুনামগঞ্জ ৩৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে রাঙামাটির বাজে কিছু ফিল্ডিংয়ের সুযোগে সুনামগঞ্জ ম্যাচকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। যখন সুনামগঞ্জের জেতার জন্য ৪ রান দরকার তখন ডাক পড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে রাঙামাটি দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়া রাঙামাটির সেরা পেসার ইমরান হোসেন বাবুর। বাবু তার ওভারে দলের কঠিন মুহূর্তে নিজের জাত চিনিয়ে সুনামগঞ্জের শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে রাঙামাটিকে ৩ রানের ঐতিহাসিক বিজয় এনে দেন এবং তার দলে অন্তর্ভূক্তিতে সমালোচনাকারীদের মাঠের পারফরমেন্স দিয়ে জবাব দেন। বাবু ৪ উইকেট পেয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। দলের সাথে কোচ ও ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন বিসিবির লেভেল ওয়ান কোচ আব্দুল করিম লালু ও নাছির উদ্দিন সোহেল।