পার্বত্য জেলা রাঙামাটির রাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব ও অবস্থান নি:সন্দেহে প্রশ্নাতীত। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নিজেদের জায়গাটা ঠিকঠাক তৈরি করে নিয়েছেন এই তিন নেতা। তিনজনেরই আছেন বিপুল সংখ্যক অনুসারি। তিনজনই নিজ নিজ জায়গায় সমান জনপ্রিয়ও বটে। এদের একজন রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর,অন্যজন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী এবং আরেকজন রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরী। করোনাবন্দী এই সময়ে কেমন কাটলো এই তিন নেতার ঈদ, জানিয়েছেন পাহাড়টোয়েন্টিফোর ডট কম’কে…
হাজী মুছা মাতব্বর
সকালে রিজার্ভবাজার জামে মসজিদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ে নিজেদের পুরনো বাসায় যান। সেখানে ভাইবোন ও স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করে ঘরে ফেরেন। করোনা’র কার নিষ্প্রাণ ঈদে নিজের কিছু ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের সাথেই সারাদিন কাটিয়েছেন তিনি। প্রিয়তমা স্ত্রী শামীম আক্তারের রান্না করা পোলাও মাংস খেয়েছেন মজা করে। ছিলো ঈদের সেমাইও। দুই প্রিয় সন্তান মিশকাত আর তাসফিয়া’র উপস্থিতি ছিলো বাবার আশেপাশেই সারাদিন। অন্যান্য ঈদে মেহমানের চাপে ন্যুজ হয়ে পড়া বাড়ীটি এবার যেনো ছিলো শূণ্য উদ্যান। তবুও মুছা রাঙামাটিবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন,‘ করোনা’র কারণে সারা পৃথিবীর মানুষই এবার ঈদ উদযাপন করতে পারেনি সাড়ম্ভরে। নিশ্চয়ই করোনাকে জয় করে আগামীর দিনগুলোতে আমরা সবাই মিলে আবারো অতীতের মতো উদযাপন করতে পারব ঈদের খুশি।’
আকবর হোসেন চৌধুরী
সকালে নিউ কোর্ট বিল্ডিংয়ের কালেক্টরেট মসজিদে নামাজ আদায় করেন পৌর মেয়র আকবর। সেখান থেকে বেরিয়ে বনরূপা কবরস্থানে গিয়ে বাবা’র কবর জেয়ারত করে আসেন। সারাদিন বাসাতেই ছিলেন তরুন এই নেতা। নিজের ঘনিষ্ঠ কিছু নেতাকর্মীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বাসাতেই। ৩ ভাই ৩ বোনের সংসারের প্রধান তার প্রিয় মা। মায়ের হাতের মুরগী পোলাও বরাবরই প্রিয় ভোজনরসিক আকবরের, খেয়েছেনও প্রাণ ভরে। তবে করোনার এই বিপন্ন সময়ে বাসায় নেতাকর্মীরা আসতে না পারায় মন খারাপ তারও। মেয়র আকবর বলেন-‘ এখন তো আসলে উৎসব পালন করার মতো অবস্থা কোথাও নেই। নিশ্চয়ই এই অমানিশার আঁধার কেটে যাবে একদিন, আবার মুখর হবে সব,পালিত হবে সকল উৎসব উচ্ছাসে ও আনন্দে। আপাতত সবাই ঘরে থেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কিছুই করার নাই।’
সোলায়মান চৌধুরী
বনরূপা জামে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ে বনরূপা কবরস্থানে নিয়ে সদ্যপ্রয়াত নিজের প্রিয় কণ্যা তাসফিয়া তারান্নুমের কবর জেয়ারত করেন সোলায়মান চৌধুরী। সেখান থেকে বাসায় ফিরে সারাদিনই বাসায়ই ছিলেন। অন্যান্যবছর নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভীড় থাকলেও এবার তেমন কেউ আসেনি স্বাভাবিক কারণেই। দুই সন্তান রনি আর রিমন আর স্ত্রী’কে নিয়েই কেটেছে ঈদ। নিজের প্রিয় গরুর মাংস আর সাদাভাত ছিলো খাবারের মেন্যুতে। রাতে তার ফুফাতো ভাইবোন,ভাগিনা ভাগিনিরা এসেছিলো,তাদের সাথে আড্ডা আর খোশগল্পে কেটেছে কিছু সময়। সোলায়মান চৌধুরী রাঙামাটিবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন-‘ এবারের ঈদ তো আর অন্যান্য ঈদের মতো নয়। শুধু পালন করাই। আশা করছি করোনামুক্ত পৃথিবীতে আবারো আসছে দিনের ঈদগুলো পালিত হবে উচ্ছাসে।’