শংকর হোড় ॥
সারা দেশে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। চলতি মাসের ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে ক্যাপসুল এ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল। এতে বলা হয়, শিশুদের বেঁচে থাকা, তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উপরন্তু, ভিটামিন ‘এ’ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে শিশুদের রাতকানা, অন্ধত্বসহ চোখের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম। এই ভিটামিনটির অভাবে আপনার শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভিটামিন ‘এ’ যে শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
এসময় আরো বলা হয়, অপর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, জন্মের পর শিশুকে শাল দুধ না খাওয়ানো, নিয়মিতভাবে ও পর্যাপ্ত সময় ধরে শিশুকে মায়ের দুধ না খাওয়া, যথাযথভাবে পরিপূরক ও সুষম খাবার ক্রয়ের অক্ষমতা, ভিটামিন ‘এ’র প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব এসবের কারণে শিশুদের শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব দেখা দেয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, অতীতে ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের ফলে শিশুমৃত্যুর হার ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ভবিষ্যতের সুস্থ, সবল নাগরিক গঠনে বর্তমান শিশুদের ক্যাম্পেইনের আওতায় আনার বিকল্প নেই।