দীঘিনালায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী কৃত্তিকা ত্রিপুরা পুনাতি হত্যা ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে শনিবার জেএসএস (এমএন লারমা) এর সহযোগি সংগঠন সংগঠন যুব সমিতির এক সদস্য শান্ত ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে গ্রেফতারকৃত শান্তকে নির্দোষ দাবী করে তার মুক্তির দাবিতে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেএসএস। জেএসএস দাবী করেছে, তাদের দলকে হয়রানী করতে মিথ্যা অভিযোগে তাদের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত রবেন্দ্র ত্রিপুরা ওরফে শান্ত (৩২) জেলার পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি এলাকার পুদ্যানি পাড়ার পূূন্যধন ত্রিপুরা ওরফে ধন্যধন ত্রিপুরার ছেলে। কিন্তু তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, এম এন লারমা (পিসি জেএসএস, এমএনলারমা) পক্ষের সক্রিয় কর্মী হিসেবে দীঘিনালায় দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার দিন কৃত্তিকার ঘরেই তাঁর অবস্থান ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এছাড়া গ্রেফতারকৃত শান্ত জেলা সদরের একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
অপরদিকে শান্তকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেএসএস। সমাবেশ থেকে শান্ত’র নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করা হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, দীঘিনালার ওসি শিশু শিক্ষার্থী কৃত্তিকা হত্যা ঘটনার সাথে জড়িয়ে জেএসএসকে হয়রানী করছেন।
জেএসএস (এমএন লারমা) উপজেলা শাখার সহসভাপতি লোচন দেওয়ান জানান, কৃত্তিকা হত্যার সাথে জেএসএস জড়িত নয়। জেএসএসকে হয়রানী করার জন্য জেএসএসের যুব সংগঠন যুব সমিতির সদস্য শান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন লোচন দেওয়ান দাবি করেছেন, শান্ত কোন চাঁদাবাজ নয়, সে শুধুমাত্র যুবসমিতির সদস্য।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জুলাই দুপুরের দিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নয় মাইল ত্রিপুরা পাড়া গুচ্ছগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৃত্তিকা ত্রিপুরা ওরফে পুনাতি (১১) কে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে তার বাড়ির সামনের বাঁশ বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা কয়।