সোমবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে আগামী তিনমাস পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদ হতে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আজ মধ্যরাত থেকে মাছ শিকার বন্ধ কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটির ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতি মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুম মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান।
তিনি আরও বলেন, এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এবং স্থানীয় বরফ কল গুলো বন্ধ থাকবে। এখানকার প্রায় ২০ হাজার জেলে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আমরা এ বছর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ডিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, ‘কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে ১ মে থেকে আগামী তিনমাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান টিমও কাজ করে যাবে। এসময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দন্ড দেয়া হবে।’