
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরমে ওয়ার্ড যুবলীগের এক সহ-সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার মধ্যরাতে চিৎমরম ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম উসুই প্রু মারমা (৩০) ওই এলাকার জিং হ্লা মারমার সন্তান।
চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশ্রারাফ উদ্দিন বলেন, মধ্যরাতে উসুই প্রু মারমা ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতিকে একদল সন্ত্রাসী ঘর থেকে ডেকে গুলি করে হত্যা করে। ভোর রাতে তার লাশ থানায় নিয়ে আসি। কারা ঘটনার সাথে জড়ির এখনো সেটি বলা সম্ভব না তবে ঐ এলাকাটি সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস এর নিন্ত্রণাধীন এলাকা হিসেবে পরিচিত।
কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষ আওয়ামী রাজনীতি করলে সন্ত্রাসীরা তাদের বিভিন্ন সময় হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতি করতে বাঁধার সৃষ্টি করে আসছে। এটি সেই করানে হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।
তিনি আরো জানান, রাতে ঘটনা শুনার পর সেখানে গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলেছি, নিহত উসুই প্রু মারমার স্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন মধ্যরাতে ৭-৮ জন বাসার দরজা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে এবং বাসা থেকে ১ কিলোমিটার দুরে নিয়ে তাকে তিন রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে। তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘যখন করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহুর্তে ঘর থেকে বের হওয়ায় নিষিদ্ধ, এমন অবস্থায়ও হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে একদল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। প্রশাসনের কাছে আহবান জানাব, এই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে। যাতে করে আর একটি লাশও না পরে পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটিতে ‘