করোনা নয়, করুন অবস্থায় মরতে হবে !

‘করোনা ভাইরাস’ এ ভাইরাসের আতংক পুরো বিশ্ব জুড়ে। ভাইরাসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, বর্তমানে ভাইরাসটির আক্রমণে বাংলাদেশেও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে অন্তত ৪৪জন। ভাইরাসটি ছোঁয়াছে হওয়ায় এটি যেনো ছড়িয়ে না পরে তাই সারা দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে সকল গণপরিবহন, দোকান-পাট এবং অফিস আদালত। শুধুমাত্র খোলা রয়েছে মুদির দোকান, ফার্মেসী ও কাঁচাবাজারের দোকান গুলি। এমন পরিস্থিতিতে বিপদে পড়েছে খেঁটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ গুলো। একদিন আয় করতে না পারলে যাদের পেটে জুটে না কোন খাবার। এছাড়াও রয়েছে সংসারের অন্যদের খাবার জোগারের চিন্তা, তাইতো তারা এখন এ পরিস্থিতিতে দিশেহারা।
তেমনি একজন রাঙামাটির বনরূপা বাজারের ডাব বিক্রেতা মো: রমজান আলী। তিনি অন্যদিন গুলোতে যেখানে সারা দিন মিলে ৫০-৬০টি ডাব বিক্রি করতো তিনি শুক্রবার একটি ডাবও বিক্রি করতে পারেননি তাই তো খুবই দুচিন্তা ছেপে আছে তার চোখে-মুখে।
ডাব বিক্রেতা রমজান আলি বলেন, ‘অন্য ছুটির দিন গুলোতে সকাল বেলা বাজারে প্রচুর মানুষ আসে, তখন দিনে ৫০-৬০টা ডাব এমনিতে বিক্রি হয়, এখন তো দেখি একটা ডাবও বিক্রি করতে পারি নাই। কিছু মানুষ আসছিলো তবে পুলিশ আর সেনাবাহিনী দেখে পালিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘরে পাঁচটা মানুষের পেট, এখন যদি ব্যবসা করতে না পারি তবে কেমন করে ঘরের জন্য বাজার সদায় করে নিবো। আমরা তো অন্যদের মত ঘরে আগের থেকে বাজার করে রাখতে পারি না। এমন অবস্থা হলে তো আমরা করোনায় নয়, করুন অবস্থায় মরতে হবে।’
অন্যএক কলা বিক্রেতা ছবুর মিয়া বলেন, ‘বাজারে মানুষ জন নাই, সবাই ভয়ে ঘরে বসে আছে। পুলিশ আমাদেরকেও বলতেছে ঘরে না থেকে বাজারে কি? আরে ভাই ঘরে চাকরিজীবিরা বসে থাকলে সমস্যা নাই, মাস শেষে বেতন চলে আসবে। আমরা ঘরে বসে থাকলে কি আমাদেরকে কেউ ভাত দিবে। পেটের দায়েই তো রাস্তায় বেরুতে হয়, নয়তো কি আমাদেরও রোগের ভয় লাগে না। কিন্তু রোগের ভয়ের থেকে তো আরো বড় ভয় হচ্ছে বিকালে বাসায় বাজার নিয়ে না গেলে ছেলেপুলে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’