করোনা’র বড় সংক্রমন হল ‘কৌতুহল’!

যখন কভিড-১৯ করোনার সংক্রমনে পুরো বিশ্ব উদ্বিগ্ন, মৃত্যুর মিছিলে বড় বড় পাওয়ার হাউজ বলে খ্যাত দেশ সমূহ অসহায় হয়ে আকাশপানে চেয়ে আছে, তখন বাংলাদেশের জনগনের কৌতুহল যেন করোনা কোন সুপারস্টার তাকে দেখতে রাস্তায় ভীড় করে আছে। সরকার,প্রশাসন,আইনশৃংখলা বাহিনী যেখানে দিনরাত পরিশ্রম করছে সংক্রমন ঠেকাতে সেখানে আমি-আপনি উঠে পড়ে লেগেছি সংক্রমিত হতে।কোন নিয়ম-বাঁধার তোয়াক্কা না করে মানুষ ঘুরঘুর করছে পাড়া,মহল্লা,রাস্তা ঘাট,বাজারে। এত বেশি কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোড়ামি আমাদের রন্দ্রে রন্দ্রে রয়েছে যে সঠিক কাজটিই করা কঠিন হয়ে পড়ে।যেখানে পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলো লক ডাউন হয়ে আছে সেখানে অামরা ধর্মীয় গোড়ামি করে মন্দির,মসজিদ,প্যাগোডাতে গিয়ে সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছি।প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অকারনে ঘরের বাহিরে ঘোরাঘোরি করছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে ফেলছি। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পন্য চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ক্রয় করে মজুদ করে অন্যদের সামাজিক নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছি।
ভাবছি আমি বেঁচে থাকলেই হল বাকীদের বাঁচা মরাতে কার কি যায় আসে! হোম কোয়ারেন্টিন শব্দটাকে জনগন এমন ভাবে নিচ্ছে যেন এটা একটা অপরাধ ও অনেক লজ্জার। ফলশ্রুতিতে বিদেশ থেকে এসে চুপিসারে ঘোরাঘোরি করছি বা ঠিকানা বদলে অন্যস্থানে নিজেকে নিরাপদ ভাবছি।বোকার দল ভাবছে না আপনার একটু উদাসহীনতা ও ভুলে আপনার আপনজনেরা কত বড় জীবন মৃত্যুর সংকটে পড়ে যাচ্ছে।এভাবেই দিন দিন সংক্রমন বৃদ্ধি করে দেশকে বিপদে ফেলে চলেছি।
এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে শুধু আমাকে আপনাকে সতর্ক ও সজাগ হলে চলবেনা রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে সরকারী ও মেডিকেল সায়েন্সের সকল বিধি বিধান ও অনুশাষন মেনে চলতে হবে।যে মৃত্যুতে স্বজন থাকেনা, পাড়া প্রতিবেশি থাকেনা,বন্ধু থাকেনা সে মৃত্যু কতটা কঠিন ও বেদনার তা একটু ভেবে দেখুন।নিজেকে বাঁচাতে হলে আপনার চারপাশ আগে বাঁচান কষ্ট হলেও অাইন ও বিধিনিষেধ মেনে চলুন ঘরে থাকুন।
লেখক : ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেট কোচ