দীর্ঘদিন ধরে কিডনীর সমস্যা ভুগছেন, সমস্যা এতোই তীব্র যে সপ্তাহে দুইবার চট্টগ্রামের হাসপাতালে গিয়ে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। ‘আগে অপেক্ষাকৃত অনেক সহজে চট্টগ্রাম গিয়ে কাজটি করাতাম, কিন্তু বর্তমানে করোনার কারনে পরিবহন বন্ধ থাকার কারনে খুব কষ্ট হয় চট্টগ্রাম যেতে- কথাগুলো বলছে কিডনী রোগা আক্রান্ত শফিউল ইসলামের ভাই মো: মান্নান।
কোভিড-১৯ বা করোনার কারনের দেশ জুড়ে চলছে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সীমিত চলাচল করছে গণ পরিবন বন্ধ, বন্ধ রয়েছে সকল ধরনেরর যান চলাচল, এমনকি এক জেলা থেকে অন্য জেলা বা এলাকায় প্রবেশেও আছে নিষেধাজ্ঞা,এমন নিষেধাজ্ঞায় খুব বিপত্তিতে পড়েছেন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা, যাদের চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ডাক্তার বা হাসপাতালে যেতে হতো।
চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারনে পথে পথে নানা বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ফলে সংকটে পড়েছে তাদের চিকিৎসা সেবা। করোনা পরিস্থিতির পূর্বে যেকোন ধরনের গণপরিবহনে চট্টগ্রামে গিয়ে বিনা বাধায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারতেন। বর্তমানে পাওয়া যায় না কোন গণপরিবহন,এমনকি এককভাবে যাবারও কোন ব্যবস্থা নাই। যেতে হলে কিছু টেক্সি আছে বা এ্যাম্বুল্যান্স রিজার্ভ করে যেতে হয়, যার ফলে চট্টগ্রাম যাওয়া আসার খরচ বেড়েছে কয়েকগুন। গাড়ি রিজার্ভ করার বিড়ম্বনা শেষ করার পরও পথে পথে আছে পুলিশি চেকের বিপত্তি।
জেলা প্রশাসন থেকে মৌখিকভাবে এসব জরুরী রোগীদের চট্টগ্রামে যাবার অনুমোতি দিলেও পথে পথে বিভিন্ন চেকিংয়ে পরতে হয় ভোগান্তিতে। এমনটাই জানাচ্ছে রোগীর স্বজনরা।
কিডনী রোগী শফিউল আলমের ভাই মো: মান্নান বলেন, ভাইকে নিয়ে যখন পথে টেক্সি করে যাই, পুলিশি চেকে পরতে হয় অনেক। অনেক সময় পুলিশ লিখিত অনুমতিপত্র দেখতে চায় কিন্তু আমাদেরকে কেউ লিখিত অনুমতি দেয় না। আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে অনুমোতির জন্য যোগাযোগ করলে প্রশাসন মৌখিক অনুমতি দেয় এবং বিভিন্ন কন্ট্রোল রুমে গাড়ির নাম্বার সহ জানিয়ে দেয়। বিভিন্ন পুলিশ চেক পোস্টে জেলা প্রশাসনের কথা বলে পার হতে পারলেও বেতবুনিয়া রাবার বাগান পুলিশ চেক পোস্টে কর্মরতরা এসব কথা বুঝতে চায় না তারা লিখিত অনুমোতি ছাড়া যেতে দিতে চায় না। তাই প্রত্যেকবার ব্যাপক বিড়ম্বনায় পরতে হয়।
অরেক ভুক্তভুগী মো: ইসহাক বলেন, নিয়মিত চিকিৎসা নিতে আমাকে চট্টগ্রাম যেতে হয় যাবার আগে ডিসি, এনডিসি, এএসপি সার্কেল সবাইকে জানিয়ে অনুমতি নিয়ে যাই, ওনারা কন্ট্রোল রুমে জানিয়ে দেয়, চিকিৎসার সকল কাগজপত্র সাথে থাকার পরও পথে পথে প্রচুর ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক সময় পথে গাড়ি আটকে দেয়, যেতে দিতে চায় না।
করোনায় যেমন স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। জটিল রোগে আক্রান্তদের জরুরী চিকিৎসা সেবা না পেলে ঝুঁকিতে পরবে তাদের জীবন। তাই জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া রোগীদের প্রত্যাশা যাতে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন।