
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ইয়ারিংছড়ি গ্রামে চিকিৎসার নাম করে ওসমান নামের এক কথিত কবিরাজের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। লংগদু থানায় ভিকটিমের বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে কবিরাজের তিন সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। কথিত কবিরাজ ওসমান জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার মোস্তফা কলোনি এলাকার মৃত তফসির আহম্মদের ছেলে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারে জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূর সাথে তার স্বামীর মনোমালিন্য হওয়ায় বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে গৃহবধূ। বাবার বাড়ি থেকে গ্রামের দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় কৌশলে তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল কথিত কবিরাজ ওসমান। গৃহবধূর স্বামীর সাথে মনের মিল করিয়ে দেবে এবং স্বামী নিজে এসে গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাবে এমন প্রলোভন দেখালে গৃহবধূ কবিরাজের নিকট চিকিৎসা নিতে রাজি হয়। জ্বীন হাজিরের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা বলে গৃহবধূকে হলুদ রঙের শাড়ি পড়ানো হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে গৃহবধূকে শরবতের সাথে নেশা জাতীয় পানীয় খাওয়ালে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় কথিত কবিরাজ ওসমান ।
ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূর পরিবার সামাজিক সম্মান এবং মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। এক পর্যায়ে গত ২০ এপ্রিল লংগদু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ কবিরাজের তিন সহযোগীকে আটক করে।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাঘাইছড়ির বাসিন্দা কবিরাজ ওসমানের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে রাতেই তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষক ওসমানকেও আটকের চেষ্টা চলছে। আটক তিনজনকে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছি এবং ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর বলেন, লংগদু থেকে আমাদের কাছে এক রোগী আসে। আমরা দ্রুত গাইনী বিভাগে পাঠাই তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাকরার জন্য। আগামী ৩-৪ দিনেরম মধ্যে এ রির্পোট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।