শরৎ কালের শুরুতে মহালয়ার মধ্য দিয়ে নৌকায় করে বাবার বাড়ি এসেছিলেন দেবী দুর্গা। আর বিজয়া দশমীর দিন ঘোড়ায় করে চলে গেলেন।
শনিবার বিজয়া দশমীর দিন বিকালে দেবী দুর্গাকে বিদায় দেয়ার মুহুর্তে আনন্দ মুখর পরিবেশ এবং নাচে-গানে রাঙামাটির বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের প্রানবন্ত অংশগ্রহণে পুরো শহর পরিণত হয় উচ্ছাসের নগরীতে। এ যেনো অসম্প্রদায়িক মেলবন্ধনের উৎসবের এক নগরী।
এদিন সকালে প্রতিটি মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গার বিদায় পর্ব শুরু হয়, দুপুর থেকে রাঙামাটির বিভিন্ন মঠ-মন্দির থেকে দেবী দুর্গাকে নিয়ে একের পর এক সারি সারি ট্রাক জড়ো হতে শুরু করে শহরের মাঝেরবস্তির শাহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখান থেকে বিভিন্ন মন্দিরের গাড়ীবহর নিজ নিজ প্রতীমা নিয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিন করে। এসময় উচ্চস্বরে মিউজিক,রং ছড়াছড়ি আর হৈহুল্লোড়ে পুরো শহরে সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। ছেলে বুড়ো নারী পুরুষের ব্যাপক অংশগ্রহণের সৃষ্টি হয় ভিন্ন এক দ্যোতনার।
এসময় দেখা যায় শহরের বিভিন্ন স্থানে নানান শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন এ উচ্ছাস,আনন্দ।
ট্রাক, মিনি ট্রাক, সিএনজি, মোটর বাইক সহ নানান যানবাহনে করে গানের তালে তালে নাচতে থাকে হাজারো তরুন-তরুনী। বসে নেই বৃদ্ধরাও, তরুন-তরুনীদের মাঝে তাদেরও দেখা মিলে আনন্দ উল্লাসে।
ছোটদের আনন্দ যেনো অন্যদের চেয়ে একটুখানি বেশি। তারাও রঙ এবং গানের তালে নাচতে নাচতে বিদায় জানাচ্ছেন দেবী দুর্গাকে।
শুধুই নাচে-গানেই নয়, রঙ লাগানোর মধ্য দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেখা যায় সকলকে। শেষ বিকালে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন প্রান্তে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন গিয়ে ঘরে ফিরে ক্লান্ত শ্রান্ত এবং গত চারদিন ধরে উৎসবে মেতে থাকা সনাতন ধর্মের অনুসারি এসব মানুষ।
মা দুর্গা তার সকল সন্তানকে আর্শীবাদ করুক, আগামী দিনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক, সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে যেনো ভালোবাসা আর মিল বন্ধন তৈরি করুক এমনই প্রত্যাশা ছিলো দেবীর কাছে শেষদিন সনাতন ধর্মালম্বীদের।