রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের নির্বাচনী চিফ এজেন্টকে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীন (৫৫) জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। রোববার সকালে পরিচয় অজ্ঞাত রেখে মুঠোফোনে এ হুমকি দেয়া হয়।
জিডিতে বলা হয়, গত ১৮মার্চ দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমার চীফ এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দায়িত্ব পালনের পর থেকে তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ গতকাল রোববার সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে একটি অপরিচিত নাম্বার (০১৮৬৭১৩৫৪৩১) থেকে ফোনে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
হুমকির প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন জানান, ‘যারা উপজেলা নির্বাচনে হেরে গেছে, তাদের পক্ষের কোনও ব্যক্তি আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমাকে হুমকি দেওয়া মোবাইল নাম্বারটি অচেনা। তাই আমি জীবনের চেয়ে থানায় জিডি করেছি।’
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নিজে এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের তিন কেন্দ্র থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে উপজেলার নয়মাইল এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা সাত জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১৬ জন। বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও প্রসীত খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করেন এই নির্বাচনে জেএসএস এমএন লারমার সমর্থিত প্রার্থী সুদর্শন চাকমা। আর সুদর্শন চাকমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চীফ এজেন্ট ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন।