রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভরশীল জেলেদের উদ্বেগ এবার শেষ হলো। গতবছর মাছ ধরা বন্ধকালিন সময়ে খাদ্য সহায়তা না পাওয়া জেলেরা এই বছর সেই বরাদ্দ যে পাচ্ছেন,তার ইঙ্গিত মিলছিলো রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের আগাম প্রচেষ্টায়। বৃহস্পতিবার সেই সুসংবাদ’ই জানা গেলো। ফলে এই হ্রদের উপর নির্ভরশীল প্রায় ২২ হাজার ২৪৯টি জেলে পরিবারের তিনমাসের মাছ ধরা বন্ধকালিন সময়ে খাদ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হলো।
সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন ৮৮৯.৯৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দের মাধ্যমে হ্রদের মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকেও এসংক্রান্ত তথ্য জাননো হয়েছে। ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলায় ২২ হাজার ২৪৯টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত প্রতিটি জেলে পরিবারকে মে-জুন মাসে ২০ কেজি হারে চাল দেওয়া হবে।
ভিজিএফ চাল ১০ জুন ২০২০ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কার্ডধারী জেলে ছাড়া অন্য কাউকে এ ভিজিএফ দেওয়া যাবেনা বলেও বরাদ্দ আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো- রাঙামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দিঘীনালা।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ। চলতি অর্থবছরে মে-জুন দুই মাসের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট জেলার মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরেই নিয়মিত বন্ধকালিন সময়ে সহায়তা পেয়ে আসলেও সর্বশেষ বছরে এই বরাদ্দ পায়নি হ্রদের জেলেরা।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন,গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আমি আগে থেকেই চেষ্টা শুরু করেছিলাম, এবং সচিব স্যারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজ সেই খুশির খবরটি জানলাম। যেহেতু মে-জুন বর্তমান অর্থবছরে তাই এটা বরাদ্দ হয়েছে,জেলেরা জুলাই মাসও বরাদ্দ পাবে বলে আমি আশাবাদী।’