সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা খুব কাছে চলে আসলেও এখনও রাঙামাটির মার্কেটেগুলোতে ক্রেতাদের খুব একটা ভিড় দেখা যাচ্ছে না। এতে করে দোকানদাররাও অলস সময় পার করছেন। বিভিন্ন উৎসবে পোষাক-জুতোর দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। তবে এবারের পুজায় এখনও অনেকটা ফাঁকা রয়েছে মার্কেটেরগুলো। এখনও জমে উঠেনি পুজোর কেনাকাটা।
রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি, বনরূপা, রিজার্ভবাজারে বিভিন্ন মার্কেটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কেনাকাটার জন্য তেমন কোনো ক্রেতা নেই। বিশেষ করে কাপড় বা জুতোর দোকানগুলোতে দোকানীরা অলস সময় পার করছেন। কিছু কিছু ক্রেতা এসে পোষাক বা প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করছে তবে তা চোখে পড়ার মতো না। দুর্গাপূজা উপলক্ষে দোকানদাররাও বিভিন্ন ধরণের পোশাক ও পণ্য সাজিয়ে রেখেছেন দোকানে।
ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেল. পূজার আরও কয়েকদিন বাকী আছে। সে সময়ে সনাতন সম্প্রদায়ের সবাই হয়তো কেনাকাটা করবে। শেষ সময়ে পূজার বাজার জমজমাট হবার আশা করছেন দোকানীরা। পূজাকে সামনে রেখে পোষাক বিক্রির জন্য দোকনদাররা পোষাক আনলেও খুব বেশি বিক্রী হচ্ছে না।
তবলছড়ি বাজারের দোকানদার মো. হাকীম বলেন, পূজা উপলক্ষে এখনও আমাদের বিক্রি বাড়েনি। আমরা নতুন পোষাক সংগ্রহে রেখেছি। আশা করছি, সামনে হয়তো বিক্রি বাড়বে।
বনরূপা এলাকায় এক দোকানে কেনাকাটা করতে ব্যস্ত ক্রেতা প্রদীপ দাশ বলেন, বাঙালির সবচে বড় উৎসবে কেনাকাটা করতে এসেছি। বাসার সবার জন্য কেনাকাটা করব। রিজার্ভবাজার এলাকার ব্যবসায়ী তালেব আলী বলেন, তেমন কোনো গ্রাহক নেই। তাই অলস সময় পার করছি। বেচা-বিক্রি একদম কম।
বনরূপা বাজারের নিউ বধূয়ার ক্লথ ষ্টোরের ব্যবসায়ী তোফায়েল বলেন, কিছুটা বিক্রি হচ্ছে, তবে তা আমাদের চাহিদা মতো না। খুব বেশি ক্রেতা নেই। আশা করি, পুজোর দিন ঘনিয়ে আসার সাথে বিক্রি আরও বাড়বে।