
রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডারের তাৎক্ষণিক সাহসিকতা পূর্ণ পদক্ষেপের কারণে বড় ধরণের অগ্নিকান্ডের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাঙামাটি কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে আয়োজিত মাসব্যাপী তাঁত মেলার অর্ধশতাধিক স্টল। শনিবার সন্ধ্যায় মেলাস্থলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটলেও কোন ধনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
মেলায় আগত কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে মেলাস্থলের বিভিন্ন স্টলসমূহে আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্টলে কেনা কাটায় ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় মেলায় কয়েকজন লোক চিৎকার করে জানান যে মেলার এক অংশে আগুন লেগেছে। এসময় মেলায় আগত দর্শনার্থী এবং মেলার স্টলসমূহের মালিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হতবিহল লোকজন চারিদিকে দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করে।
এ সময় মেলাস্থলে পরিদর্শনে আসা রাঙামাটি সদর জোনের কমান্ডার লে: কর্ণেল রিদুওয়ানুল ইসলাম দ্রুত অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল মেলার জেনারেটর রুমের দিকে ছুটে যান। এ রুমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ড বিস্তৃতি লাভ করছিল। এ সময় মেলায় অবস্থানরত অনেকে জোন কমান্ডারকে দুর্ঘটনা স্থলে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানালেও কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত দক্ষ এ সেনা কর্মকর্তা জেনারেটর রুমে দ্রুত গিয়ে অগ্নিকান্ডরে সূত্রস্থলে বেশ কিছু বালু ছিটিয়ে সাথে সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এর ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে মেলাস্থল এবং মেলার আশে পাশের বিশাল জনবসতি এলাকা রক্ষা পায়। জোন কমান্ডারের সাহসিকতা এবং তাৎক্ষণিক বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপের কারণে আগুন নিভে আসায় সকলের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে। এ সময় মেলাস্থলে উপস্থিত সাধারণ দর্শনার্থী এবং অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্টলের মালিকগণ তাৎক্ষণিকভাবে জোন কমান্ডারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
মেলা আয়োজনকারী অন্যতম নাসিব এর সভাপতি বিপ্লব চাকমা জানান, জোন কমান্ডার সাহেব যদি তাৎক্ষণিক সাহসিকতকা প্রদর্শন করে জেনারেটর রুমের শর্ট সার্কিট স্থলে গিয়ে বালু না ছিটাতো তাহলে আগুন মুহূর্তের মধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তো। এত ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটতে পারতো। তিনি জোন কমান্ডারকে মেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে জোন কমান্ডার লে: কর্নেল রিদুওয়ানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিক্রিয়ায় জানান রাঙামাটি শিশু একাডেমিতে ইয়ুথ’র একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে জোনে ফেরত আসার পথে তিনি কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানরত তাঁত মেলায় কৌতুলবশত কিছু কেনা কাটার জন্য প্রবেশ করেছিলেন। এ সময় হঠাৎ আগুনের খবর মেলাস্থলে ছড়িয়ে পড়লে মেলার লোকজনদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়। আমি সাথে সাথে অগ্নিকান্ডস্থলে ছুটে গিয়ে লক্ষ্য করি শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে এবং অগ্নিকান্ডস্থল থেকে আগুনের বিস্তার লাভ করছে। আমি সাথে সাথে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুন নিভানোর প্রক্রিয়া হিসাবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতস্থলে বেশ কিছু শুকনো বালু ছুড়ে মারি এবং এর ফলে সাথে সাথে আগুন নিভে আসে। তিনি জানান, লোকজনের মাঝে যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এবং আগুন নিন্ত্রণের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যে সময়ের প্রয়োজন হতো তাতে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তো। এর ফলে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেত। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুন প্রাথমিক পর্যায়ে নিভানোর প্রক্রিয়া জানা থাকায় তিনি এ ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন বলে জানান। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সত্ত্বেও নিজে গিয়ে আগুন নিভানোর ঝুঁকি নেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, একজন সেনা সদস্য হিসাবে যে কোন পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত থাকেন। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার ভয়ভীতি তাদের কে দমিয়ে রাখতে পারে না।
স্যালুট বাংলার দামাল ছেলে আপনাকে?? ??
Tnx pahar 24 k, ae positive news prokaser jonno
“Salute”Zune Commander,
thanks আপনাকে আপনার মত সকল সেনা যদি সৎহতো তাহলে আজ পাবর্ত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে আসতো। আদিবাসী আর আপনাদের মধ্য এত বিরোধ হতো না। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। শুভকামনা রইলো।
এরা যে বিলাইছড়িতে দুই বোনকে ধর্ষণ করেছে সেই খবর কোথায়।
কিভাবে যে আপনারা সাংবাদিকতা করছেন জানি না, একজন সাংবাদিকের কাজ কি একটু জেনে নিবেন। কোথায় পুরষ্কার পাচ্ছে এগুলো দিয়ে লাভ নেই, কোথায় মানুষ কষ্টে বাস করছে সেগুলো খুজুন।
স্যালুট বাংলার দামাল ছেলে আপনাকে
কলম্বাস আমেরিকায় গিয়ে
রেড ইন্ডিয়ানদের যেমন বিলুপ্তি
ঘটেছিলো , এরকম কলম্বাসে কোনো প্রয়োজন নেই ৷