
নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনে কালেঞ্জয় চাকমা (৪৮) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে এ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কালেঞ্জয় রিজার্ভ পুলিশে এএসআই (সশস্ত্র) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায়। পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।
খুলশি থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কালেঞ্জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এর আগে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। স্ত্রী এলিন চাকমার সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কালেঞ্জয়। পুলিশ লাইনে হাবিলদার কোয়ার্টারের নিচতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন কালেঞ্জয়। এ ঘটনায় খুলশি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এদিকে একাধিক সহকর্মী হাবিলদার কালেঞ্জয়ের মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করেন। নাম প্রকাশ না করে সিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, ১২ বছর আগে এলিন চাকমাকে বিয়ে করেন কালেঞ্জয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে থাকত। কালেঞ্জয় তার বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক রেখে চলুক এটা চাইতেন না এলিন। মাঝে মধ্যে বাবা-মায়ের কাছে গেলে কালেঞ্জয়ের কাছে কৈফিয়ত চাইতেন এলিন।
খুলশি থানার এসআই ইমাম হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে স্ত্রী এলিন চাকমার কাছ থেকে আলাদা থাকার ব্যবস্থা করে দিতে সিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা শরণাপন্ন হয়েছিলেন কালেঞ্জয়। এ সময় সিএমপির ওই কর্মকর্তা দুজনকে মিলিয়েও দিয়েছিলেন। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি দুজনের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেদিন থেকে দুজন বাসায় পৃথক কক্ষে থাকা শুরু করেন। কালেঞ্জয় খাবার খেতেন বাইরে।
Tapan Chakma Darshan Chakma
ah to hakka he karone fasi dilode??? Hanted Swapan
সঠিক ভাবে তদন্ত করে দুষির বিচার হোক ।
আত্বহত্যা নাকি সাজানো হয়েছে, এত ভাল মানুষ হলে আত্ব হত্যা কেন করলো।
এলিনের যাবতজীবন শাস্তি প্রদান করা হোক।