‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিন দিনব্যাপি ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা রাঙামাটিতে শেষ হয়েছে। শনিবার বিকেলে কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম মাঠে সমাপনী, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিনিয়োগ বোর্ডের উপ-সচিব সঞ্চয় চক্রবর্ত্তী, ডিজিএফআইয়ের অধিনায়ক কর্নেল সামশুল আলম, রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শফি কামাল, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন (রুবেল)সহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
ডিজিএফআইয়ের অধিনায়ক কর্নেল সামশুল আলম, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে পাহাড়ি-বাঙালি সম্পর্ক স্থিতি রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিনিয়োগ বোর্ডের উপ-সচিব সঞ্চয় চক্রবর্ত্তী, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশ উল্টো পথে হাঁটছিল, উনার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দশ বছরে দেশকে এমন একটি জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন যা বিশ্বের রোল মডেল তৈরি করেছেন। এই অগ্রযাত্রাকে আমাদের সকলে মিলে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরজামান পরিস্থিতি ভুলে গিয়ে উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। বিগত ১০ বছর পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম আজকে এই অবস্থা ছিল না। সরকার প্রধানের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। আগে যেখানে যেতে ৩ থেকে ৪ দিন লাগতো। সেই একই জায়গায় এখন খুব সহসায় যাওয়া যায়। পাহাড়ে সেই দুর্গম এলাকায় যেতে এখন আর কষ্ট হয় না। তিনি আরো বলেন, আমার খুব ভালো লাগে যখন দেখি পার্বত্য এলাকার অনেক মানুষ দেশের গুরুপ্তপূর্ণ কাজে জড়িত। যারা দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই মেলার কারণে প্রতিটি বিভাগে সাধারণ মানুষকে কি কি সেবা দিচ্ছে সব একটি জায়গায় এসে জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এই মেলাটি একটি উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো। এই মেলায় প্রতিটি স্টলে সাধারন জনগণকে সেবা দিয়েছেন এবং সাথে সাথে কি কি সেবা সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষ ধারণা পেয়েছে বলে আমি মনে করি। মেলার মুল উদ্দেশ্য সরকারের গত ১০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। তা আমরা পেরেছি বলে মনে করি।
মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে কৃষি বিভাগ, দ্বিতীয় স্থান যৌথভাবে গণপূর্ত ও সড়ক বিভাগ এবং কারিগরি শিক্ষা, উন্নয়ন বোর্ড ও রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে।
মেলায় ৮৩টি স্টলে ১২০ অধিক সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেন। মেলায় সার্বক্ষণিক ওয়াইফাই সুবিধা ছিলো।