
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় ইট ভাটার দুই শ্রমিককে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনায় ওই ভাটার ম্যানেজার মো: মাহবুব হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে দুই শ্রমিককে উদ্বার করা হয়। তারা হলো- মাটিরাঙ্গা উপজেলার দশ নাম্বার নামক এলাকার হেলাল মিয়া (৩৮) ও আলাল মিয়া (৩৭)। অবশ্য অভিযোগের তীর ‘ফোর স্টার’ নামীয় ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ চার প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মূলত: বকেয়া মজুরী চাওয়ার অপরাধে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমেদ জানান, শ্রমিককে শিকলে বেঁধে রাখার বিষয়টি কিছুই তিনি জানেন না। তবে গুইমারা উপজেলায় একটিও অনুমোদিত ইটভাটা নেই বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, এই ঘটনায় ইট ভাটার ম্যানেজার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং ০২, তাং ১৩-০৫-২০২০। তাকে খাগড়াছড়ি কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
উদ্বার হওয়া শ্রমিক হেলাল মিয়ার নিকটাতœীয় সোহরাব হোসেন জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা হেলাল মিয়া ও আলাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই গুইমারার ফোর স্টার ইট ভাটায় কাজ করতেন। কয়েকদিনের মজুরের টাকা বকেয়াও ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ির সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। মঙ্গলবার তারা কয়েকজন আত্মীয় ও প্রতিবেশি মিলে খোঁজ নিতে গিয়ে তাদের দু‘জনকেই পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান।
তিনি বলেন, ‘আমি শিকল বাঁধা অবস্থায় আটকের চিত্র ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলার চেষ্টা করলে ম্যানেজার মাহবুব হোসেন মোবাইল কেড়ে নেন। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা এবং ধস্তাধস্তি হয়।’
পরে খবর পেয়ে গুইমারা থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ওই ইটভাটায় আটক থাকা দু‘জনকে উদ্বার করেন। এবং ফোর স্টার ইটভাটার ম্যানেজারকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ফোরস্টার ইটভাটার অন্যতম মালিক তারেকুর রহমান জানিয়েছেন, ‘এমনটা তাদের জানা ছিলনা। ম্যানেজার মাহবুব অনাকাংখিত ভূল করায় দু:খ প্রকাশ করেন তিনি।