আরমান খান, লংগদু
সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে গত রোববার থেকে। শুরু থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারে নেমেছে বেশিরভাগ প্রার্থী। সোমবার উপজেলার উপজেলা মাইনীমুখ ও লংগদু সদর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা ঘুরে আচরণবিধি লংঘনের চিত্র দেখা গেছে।
মাইনীমুখ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৫ প্রার্থী। এই ৫ জনের মধ্যে তিনজনই ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী। এই প্রার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাসা-বাড়ির দেয়াল জুড়ে পোষ্টার লাগিয়েছেন। এছাড়াও প্রার্থীদের ব্যানার ঝোলানো হয়েছে বিভিন্ন হাট-বাজারে। নির্বাচনী ক্যাম্প ছাড়া কোথাও ব্যানার লাগানোর নিয়ম নেই। তবুও প্রার্থীরা আইনের তোয়াক্কা না করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলছেন তারা।
ইসির আচরণবিধি অনুযায়ী, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্বোচ্চ তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা সর্বোচ্চ একটি অফিস করতে পারবেন। কিন্তু মাইনীমুখ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ‘হেভিওয়েট’ তিন প্রার্থী বেশকিছু ওয়ার্ডে তিন-চারটি করে নির্বাচনী অফিস করেছেন। এছাড়াও একটি মাইকের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর নিয়ম থাকলেও তা মানছে না কোনো প্রার্থীই।
রোববার সন্ধ্যায় এবং সোমবার বিকালে মাইনীমুখ ও লংগদু বাজার এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের প্রচারণা করতে দেখা যায়। এসময় তারা সকলেই দুইটি করে মাইক ব্যবহার করেন। যা নির্বাচনী আচরণে বিধিসম্মত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাইনুল আবেদীন বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নাই। কেউ যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’