পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর মহান ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু) উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বার্তায় ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সভাপতি প্রসিত খীসা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত পাহাড়ি ও প্রবাসী ভাইবোনদের বৈসাবি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।প্রদত্ত বার্তায় বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরূপ পরিস্থিতিতে শত দুঃখ-কষ্ট আর বেদনার মাঝেও বছরের শেষান্তে বৈসাবি উৎসব যাতেনিপীড়িত মানুষের জীবনে কিছুটা হলেও আনন্দ, নিরাপত্তা ও শান্তি বয়ে আনে,ইউপিডিএফ সে কামনা করে।
‘লংগদুবাসীর বৈসাবি বর্জন ক্ষমতাসীন সরকারের মুখে চপেটাঘাত’ বলে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বার্তায়বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতির এটাই হচ্ছে বাস্তবচিত্র। যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীই মানুষের নিরাপত্তার বড় হুমকি, লংগুদু-লোগাঙ গণহত্যা– প্রত্যেকটি ঘটনায় বারে বারে তার প্রতিফলন ঘটেছে। নীল নক্সা মোতাবেক সেনা মদদে খুন-গুম-অপহরণ পার্বত্য চট্টগ্রামে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
প্রদত্ত বার্তায় আরও বলা হয়, পরিহাসের বিষয় যাদের জন্য উৎসব, তারা র্যালি করতে পারে না। আর সরকারি উদ্যোগে লোকদেখানো বৈসাবি র্যালি সংগঠিত করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের অধিকার তথা পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত বৈসাবি উৎসব হবে না বলে ইউপিডিএফ নেতা মন্তব্য করেন। বার্তায় তিনিসকল ধরনের দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৈসাবি উৎসবের দিনে অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে সম্মুখে এগুনোর আহ্বান জানান।
এ পরিস্থিতিতে বৈসাবি উৎসবে বিষাদের ছাপ পড়েছে। ইউপিডিএফ এবার সাধারণভাবে উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং কর্মীবাহিনীকেও নির্দেশনা দিয়েছে বলেও জানান সংগঠনিটর শীর্ষ নেতা।