
রাঙামাটির দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রসীত খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের নির্যাতন, হামলা ও হুমকিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) নেতকর্মী-সমর্থকদের ৪৯ পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘর ছেড়ে বাঘাইছড়ি সদরে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রতিপক্ষরা শুধু নিপীড়ন ও নির্যাতন করে ক্ষান্ত হয়নি কেড়ে নিয়েছে মোবাইল ফোন এবং কি নগদ অর্থও। শুক্রবার দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার জীবঙ্গছড়া কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোসি চাকমা। সংবাদ সম্মেলনে এ ধরণের হামলা থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্য জ্যোসি চাকমা অভিযোগ করেন, বৈসাবি উৎসব চলাকালে সন্ত্রাসীরা বাঘাইছড়ি সদর, রুপকারী, বড়াদম, বঙ্গলতলী, করেঙ্গাতলী, বারিবিন্দু ঘাট ও বাঘাইহাটের দুর্গম এলাকাগুলোতে হানা দিয়ে জেএসএস এর (এমএনলারমা) কর্মী, সমর্থক ও আত্মীয় স্বজনের ওপর হামলা, নির্যাতন শুরু করে। এবং এক ঘন্টার মধ্যে এলাকা না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রাণের ভয়ে অনেকে এক কাপড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
‘এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের নির্যাতন করে ও মোবাইল ফোন, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও কেড়ে নেয়। তাদের অপরাধ, তাদের আত্মীয়-স্বজনরা জেএসএস (এমএনলারমা) দলের রাজনীতির সাথে জড়িত’ যোগ করেন তিনি।
বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়ের মহিলা মেম্বার শেফালি চাকমা অভিযোগ করেন, ‘তিনি একজন মেম্বার কোন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নেই। অথচ গত রোববার সকালে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানজীব চাকমা বলেন, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী বাহিনীর পরিবার-আত্মীয় স্বজনের ওপর ইউপিডিএফের এমন অনাকাক্সিক্ষত হামলা ন্যাক্কারজনক। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং অবিলম্বে উদ্বাস্তু পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সসম্মানে পুনর্বাসনের জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি উপজেলার সংগঠক জুয়েল চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির হোসেন জানায়, আমি আজ ঘটনাটি শুনেছি। আর তাদের নিজেদের দলীয়ভাবে চাঁদাবাজি ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় সময়ই ঝামেলা হয়। আর এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওদের হাত থেকে কেও রেহায় পায়না।