২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার উপনির্বাচন। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্রের ৮৩টি বুথে ৩২৮৫৪ জন বোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭০০৮ এবং মহিলা ভোটার ১৫৮৪৬ জন।
তেমন সরগরম প্রচারনা না থাকলেও ভৌগলিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই উপজেলার নিয়ন্ত্রন পেতে মরিয়া আঞ্চলিক দুটি দল। ইউপিডিএফ চায় তার হারিয়া যাওয়া এলাকার পুননিয়ন্ত্রন নিতে। অপরদিকে জেএসএস এমএন লারমা চাচ্ছে তাদের এলাকায় যাতে হাত ছাড়া না হয়। মোট কথা এই দুই দলের মধ্যে একটি শিতল যুদ্ধ চলছে। যদিও গতানুগতিক ভাবে কেউ কাউকে দোষারোপ করছেনা। এমনি কি কে কার প্রার্থী সেটাও বলছে না। দুদলই বলছে প্রার্থীরা তাদের কেউ না, তারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছে, জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আবার প্রার্থীদের কন্ঠেও একই সুর তারা কোন আঞ্চলিক দলের প্রার্থী নয়।
তবে এলাকার ভোটাররা ঠিকই তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে ফেলেছে, কে কার প্রার্থী তা তাদের জানা আছে। তবে হয়তো কোন অজানা করণে ভোটের বিষয়ে খোলামেলা কোন কথা বলেন না। তবে প্রণতি রঞ্জর খীসা ইউপাডিএফ এবং প্রগতি চাকমা জে এস এস এম এন লারমা দলের প্রার্থী সেটা তাদের জানা।
ইতোমধ্যে দু দলের দুই প্রার্থী জয়ের হিসাব নিকাশ কষে ফেলেছে। জয় পরাজয়ের ব্যাপারে ফ্যাক্টর হবে বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৪টি কেন্দ্রর ভোট। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে বগাছড়ি পুর্নবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নানিয়ারচর পুনবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুড়িঘাট পুনবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে মোট ভোটার হচ্ছে ৯৫২৭ জন। এই ভোটারদের ভোটাররা যাকে বেছে নিবে সেই হবে নানিয়াচর উপজেলার পরবর্তি চেয়ারম্যান।
আরো পরিষ্কার করে বলা যেতে পারে এসব এলাকাগুলো বাঙালি অর্ধষুত, এবং এই এলাকায় আঞ্চলিক দলগুলোর তেমন প্রভাব নেই। আবার প্রনতি রঞ্জন খিসার বাড়ি বুড়িঘাট, তাই তিনি আশা করছেন এই ভোট তার ঘরে যাবে। আপরদিকে প্রনতি চাকমার বাড়ি ঘিলাছড়ি হলেও ঐ এলাকা নিয়ন্ত্রন করে ইউপিডিএফ। সেখানে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি তিনি। আর মোট ভোটার হচ্ছে ৬২৮৪ জন। তবে তিনি মনে করেন এখানেও তিনি কিছু নীরব ভোট পাবেন, আর বুড়িঘাট ইউনিয়নের ভোট তিনিই পাবেন। প্রণতি জানিয়েছেন, আমি বাঙালি কমিউনিটিতে বেশ পরিচিত এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক আছে, তাই আমি বিশ্বাস করি ঐ ভোট আমিই পাবো।
তবে বুড়িঘাটের ভোটাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন যে এলাকার জন্য কাজ করবে সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভুমিকা রাখবে তাকেই ভোট দিবো আমরা।
তবে প্রার্থীরা জয় পরাজয়ের যত হিসাব নিকাষ করুণ না কেনো বাস্তবে কি হচ্ছে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৫ জুলাই সন্ধ্যার ভোট গনণা পর্যন্ত।
১ Comment
প্রগতি চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হলো