
‘ইউপিডিএফের পাতানো ঐক্য, স্বার্থের ঐক্যে আমরা যোগ দিতে পারিনা। যে ঐক্যে জুম্মজাতির কোন স্বার্থ নেই, সে ঐক্য কোন ঐক্য হতে পারেনা। ঐক্য হলে এমন ঐক্য হওয়ার দরকার ছিল, যার সুফল আজীবন জুম্ম জাতি ভোগ করবে।’
এমন স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়ে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এমএন লারমার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ইউপিডিএফের (প্রসিত) পাতানো ফাঁদে ঐক্য নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জেএসএস (এমএন লারমা) নেতারা।
১৯৮৩ সালের ১০নভেম্বর একদল বিপথগামী সহযোদ্ধাদের গুলিতে নিহত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা (এনএন লারমা)। যিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু)র বড় ভাই।
মঙ্গলবার উপজেলার লারমা স্কোয়ারে দলীয় কাযালয়ের সামনে দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারন, স্মৃতি ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন, শ্মরণসভা, মোমবাতি প্রজ্বলন ও ফানোস উত্তোলন।
জেএসএস (এমএন লারমা) উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি শান্তি লোচন দেওয়ানের সভাপতিত্বে শ্মরনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নরেশ চন্দ্র চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক প্রীতিময় চাকমা, ইউপডিএিফ (গণতান্ত্রিক) কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক জনপ্রিয় চাকমা।
জেএসএস (এমএন লারমা) উপজেলা শাখার ছাত্র বিষয়ক জ্ঞান চাকমার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, জেলা শাখার সহ-সভাপতি প্রীতি খীসা, উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এবং বোয়ালখালী (সদর) ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা ওরফে কালাধন, সাংগঠনিক সম্পাদক সমির চাকমা, শরনার্থী কল্যান সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দময় চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজ্যময় চাকমা, উপজেলা শাখার সভাপতি মৃনাল চাকমা, হেডম্যান (মৌজা প্রধান) ত্রীদিব রায় পোমাং, কার্বারী (পাড়া প্রধান) এসোসিয়েশনের নেতা হেমব্রত চাকমা প্রমূখ।