দোকানের নাম নেই! নেই আয়ুর্বেদিক ঔষধ বিক্রির কোনো লাইসেন্স। মাদকদ্রব্য বিক্রির একটি লাইসেন্স থাকলেও সেটির মেয়াদ বছরখানেক আগেই শেষ। এছাড়া লাইসেন্স অনুমোদন বাবদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার কোনো শর্ত না মেনেই চলছে আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকানে মাদক বিক্রি।
এটি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার নতুন বাজারে একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকানের চিত্র। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে এ দোকানে অভিযান চালিয়ে ৭৮টি দেশিয় তৈরি কেরু মদের বোতল ও ২৭টি বিদেশি মদের বোতল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান, কাপ্তাইয়ের নতুনবাজারের কাঞ্চল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির আয়ুর্বেদিক ঔষধ দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে মোট ১০৫টি দেশি-বিদেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দোকানটিতে খুচরা মাদকবিক্রির একটি লাইসেন্স থাকলেও সেটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এছাড়া খুচরা মাদকদ্রব্য বিক্রির জন্য যেসব শর্ত দেয়া আছে; তার একটিও মানছে না তারা। মাদক বিক্রি করতে হলে সাধারণত ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া কেউ বিক্রি করতে পারেন না। তারা কোনো শর্ত না মেনেই মাদক বিক্রি করে চলেছেন। এছাড়া তাদের আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকানের পর্যন্ত কোনো লাইসেন্স নেই। নেই দোকানের নাম!