
দীর্ঘ আড়াইমাসের অবরুদ্ধতা কাটিয়ে কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভরশীল ছয় উপজেলার চারটিকে শনিবার থেকে ছোট্ট লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। রাঙামাটির লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন সংস্থার রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, গত দুচারদিনের হালকা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলের কারণে এবং উজানের দিকে ভারত অংশে বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদের পানি কিছুটা বেড়েছে। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগেরবিষয়টি মাথায় রেখে আমরা শনিবার থেকে ছোট্ট লঞ্চগুলো ব্যবহার করে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছি। আপাতত লংগদু উপজেলার মাইনী,বরকল উপজেলা সদর এবং নানিয়ারচর ও জুরাছড়ি উপজেলায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে নানিয়ারচর ও জুরাছড়ি সদর পর্যন্ত যেতে পারবেনা,পানি বাড়লে যাবে। অন্যদিকে বরকল রুটে ছোট হরিণা পর্যন্ত যেতে পারবে না,বরকল সদর অবধি যাবে।’
কাপ্তাই হ্রদে এখন যে পানি আছে,তা নৌ চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত নয় জানিয়ে মঈনদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, এখন যাত্রী কম হওয়ায় আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি, শীঘ্রই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলে পুরনো ভাড়াই বহাল থাকবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন এই সময়ের জন্য যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, গত আড়াইমাস ধরে যাত্রীরা ব্যাপক কষ্ট সয়েছেন,আমাদের লঞ্চ শ্রমিকরাও বেকার বসে ছিলো। এখন আশার আলো দেখা যাচ্ছে।’