পৃথিবী জুড়ে মানুষ করোনা আতংকে আছে। ঠিক তেমনই আতংকে আছে বাংলাদেশের অনেক মানুষ। সবাই না বলে কেন অনেক মানুষ বলছি তা নিয়ে নিশ্চয় চিন্তা করছেন? আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বা রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে সাধারনের অবস্থান দেখলেই বুঝা যায় সব মানুষ সচেতন নয়! তাই বলছি অনেকে!
কেউ কারণে কেউ অকারণে ঘুরে বেড়াচ্ছে বা বেড়াতে চাচ্ছে। রাস্তার মোড়, বাজার বা পাড়ার গলির মুখ সুযোগ পেলেই আড্ডায় মেতে থাকার চেষ্টা আবার বাহিরে কি হচ্ছে তা দেখার জন্যও বের হয় অনেক ‘বিজ্ঞ’ ব্যক্তি।
এবার আসি পুলিশের কথায়- পুলিশ ভালো না, পুলিশ পঁচা! এ মন্দ পঁচা মানুষগুলোরও আছে নিজের জীবন, তাদের আছে প্রেম, আছে পরিবার পরিজন, আছে সন্তান, বাবা মা সবাই কিন্তু তার নিজ পরিবারের প্রতি দায়িত্ব কতটুকু পালন করতে পারছেন সেটি তার পরিবারের সদস্যরাই বলতে পারবে।
এ করোনায় অনেকেই,মানে প্রায় সবাই ভয় পাচ্ছেন, শুধু বোধ হয় ভয় পাচ্ছে না পুলিশ, পুলিশের হয়তো ভয় পেতে নেই। নিজে করোনার ঝুঁকি নিয়ে দেশের সকলকে করোনামুক্ত রাখতে রাস্তায় রাস্তায়, পাড়ায় পাড়ায় টহল দিচ্ছে, দিচ্ছে শাস্তি, কারণ সবাইকে বাসায় থাকতে বাধ্য করা। কারণ করোনা নামক ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য বাসায় থাকার বিকল্প নাই।
দিন রাত এমনকি প্রচন্ড রোদের মধ্যেও পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করছে জনগনকে বাসায় রাখতে আবার অনেকক্ষেত্রে অনেকের বাসায় পৌছে দিচ্ছে খাবার। সারাদিন টহল দিয়ে ডিউটি পালন করে বিশ্রাম নেয়ার যথেষ্ট সময়ও পান না, আর খাবার, সেতো যেখানে পেল সেখানেই, নয়তো নাই।
একটা কথা মনে রাখবেন, তারা যা করছেন শুধু আমার আপনার রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য,রাখার জন্য। অনেকক্ষেত্রে মনে হতেই পারে পুলিশ বাড়াবাড়ি করছে, জীবন রক্ষার জন্য এমন বাড়াবাড়ি আশীর্বাদই বটে। এভাবেই রক্ষা পাবে মানুষ রক্ষা পাবে, দেশ বেঁচে যাবে মৃত্যুপরী থেকে, আমাদের প্রিয় দেশ।
এখনো অনেক পাড়ার মুখে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের লোকজন একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে। পুলিশ দেখলেই দৌড়ে পালাচ্ছে, পুলিশ চলে গেলে আবার আড্ডা। ভেবে দেখেছেন পুলিশের চোখ থেকে পালাতে পারলেও, করোনার কাছে থেকে পালাতে পারবেনতো?
অবশ্য সেখানে তরুনরা বা একটু বয়স্ক যারা বসে ছোটদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন তারাই যদি পাড়ার মুখে সবাইকে আড্ডা দিতে নিরুৎসাহিত করে বা পাড়ায় আড্ডা- অকারনে কেউ বের হলেই তাদের ধমক দিয়ে বাসায় ডুকিয়ে দেয় ক্ষতি কি?
এলাকার বয়স্ক বা তরুনরা মিলে যদি পুলিশের এ দায়িত্বটা পালন করে প্রত্যেকেই তাহলে করোনার জন্য যুদ্ধটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আসুন, এই মুহুর্তে একে অপরকে বাঁচাতে, নিজে বাঁচতে, নিজের দেশ আর দেশের মানুষকে বাঁচাতে, আসুন সবাই পুলিশ হই, নিজে বাঁচি দেশকে বাঁচাই।
লেখক : সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,পাহাড়টোয়েন্টিফোর ডট কম/জেলা প্রতিনিধি-দীপ্ত টেলিভিশন