বান্দরবানে দলীয় শৃঙ্খখলা বিরোধী কর্মকান্ডের দায়ে আলীকদমে আআওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মংব্রাচিং মারমা, সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মারমা স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। আনীত অভিযোগ পত্রে আলীাদম উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে ৬০ জনের স্বাক্ষরিত রেজুলেশন তৈরি করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
অবাঞ্চিতরা হলেন-আলীকদম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার জিহাদ চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভপাল ডালিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শুভরঞ্জন বড়ুয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল আলম, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মংচিংথোয়াই মারমা এবং কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মোঃ এনামুল।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের এসব নেতারা দেশের ক্রান্তিলগ্নে লকডাউন চলাকালীন কর্মহীন জনসাধারণের মধ্যে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী বিরোধী জনৈক নেতার সহিত মিলিত হয়ে দল ও সরকারের ভাবমূর্তী নষ্ট করাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ” নিউজ আলীকদম’ নামক দুটি ফেইসবুক আইডি থেকে অভিযুক্ত এসব নেতারা দল ও সরকারের কোন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন না করে উল্টো সরকার প্রদত্ত ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার জন্য প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মংব্রাচিং মারমা বলেন, অবাঞ্চিত ঘোষনাকারী নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত জেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত নেতা কাজী মুজিবুর রহমান ও আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালামের গুণগানসহ তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে অসদাচরণ করতেও দ্বিধাবোধ করছেনা। তাদেরকে দলীয় কার্যক্রমে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক সদস্য পদ বাতিল করার জন্য জেলা আওয়ামীলীগ বরাবরে রেজুলেশন প্রেরণ করেছি।
তবে আলীকদম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার জিহাদ চৌধুরী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শুভরঞ্জন বড়ুয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিথ্যা অপপ্রচারের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্ঠতা নাই। আমার আইডি তে আমি এই বিষয়ে কোন পোস্ট করিনি। মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।