
২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে দিয়েছিলেন অভিমানে ভেজা স্ট্যাটাস ‘ আমি কারো প্রিয়জন নয়,শুধুই প্রয়োজন।’ তার ঠিক ১১২ দিন পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলো রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া। প্রায় চার মাস বুকের ভেতর কি বেদনা বেরিয়েছে এই তরুণ জানেনা কেউই।
তবে তার পরিবার বলছে,পারিবরিক কলহের জেরে অভিমান করে মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে নিজ বাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টাকালে তারেই চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা এসে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ নামিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

মৃত্যুর আগে কেনো চিৎকার দিয়েছিলো সুব্রত ? সম্ভবত ফাঁসিতে ঝুলে পড়ার পর শেষ মুহুর্তে হঠাৎ বাঁচার আকুতি পেয়ে বসে এই অভিমানী তরুণকে। কিন্তু ততক্ষণে যে বড্ড দেরি হয়ে গেছে ! জীবন খাতার পাতাও উল্টে গেছে বাঘাইছড়ির চেনা মুখ সুব্রত’র।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাচালং মডেল টাউন এলাকার মৃত অরুন বড়ুয়ার পুত্র সুব্রত বিবাহিত ছিলেন। তার স্ত্রী পিপলি চাকমা। আর একমাত্র পুত্র সন্তান অয়ন বড়ুয়া (৬) পিতাকে হারিয়ে নির্বাক।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি এমএ মনজুর বলেন, আমরা সংবাদ পেয়েছি গলায় ফাঁস দিয়ে সুব্রত বড়ুয়া নামে একজন মৃত্যু বরন করেছে । নিহতের মরদেহ বর্তমানে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে, ময়নাতদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার অকাল মৃত্যুতে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী ও তার ছাত্রলীগ সহকর্মীরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাসছে বেদনা আর হাহাকারে। রাজনীতির সক্রিয় এই তরুণ কোন অভিমানে ঝড়ে গেলো অকালেই এমন প্রশ্নই ঘুরছে সবার ওয়ালে। ওপাড়ে ভালো থাক সুব্রত,এই প্রত্যাশায় ভেজা চোখে ফেসবুক ভাসাচ্ছেন তার বন্ধু ও সহযোদ্ধারা।