কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মেনে রাঙামাটি লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের আট বিবাহিত নেতা স্বেচ্ছায় সংগঠনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেও খোদ উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাহিত সাধারন সম্পাদক রাশেদ খান রাজু এবং তার অনুসারি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাবলা দাশ পদত্যাগ করেনি !
এনিয়ে বিস্ময় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অব্যাহতি নেয়া ছাত্রলীগ নেতা ও সংগঠনটির সাধারন নেতাকর্মীরা।
লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগসূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিবাহিতদের সংগঠন থেকে পদত্যাগের তিনদিনের আল্টিমেটামের মধ্যেই পদত্যাগ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম,সহসভাপতি রাকিব হাসান,সহসভাপতি তৈয়ব আলী,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ হানিফ,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহিদ, উপ দপ্তর সম্পাদক আবু মুছা,উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আজগর আলী এবং সিনিয়র সদস্য মোঃ পারভেজ ভূঁইয়া।
পদত্যাগকারি ছাত্রলীগ নেতারা ও সহসভাপতি রেজাউল করিম জানান, যেহেতু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে,সেই নির্দেশনা মেনেই আমরা প্রিয় সংগঠন থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। তবে সাধারন সম্পাদক রাজু ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাবলা এই নির্দেশনা মানছেনা। আমার অনুরোধ থাকবে,যারা সংগঠনের নির্দেশনা মানবেনা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হোক।
পদত্যাগকারি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ হানিফ বলেন,যারা ছাত্রলীগে নামধারি এবং দলের স্বার্থে নয়,ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক স্বার্থে ছাত্রলীগ করে তারাই দলের নির্দেশনা মানছেনা, কারণ এরা ছাত্রলীগকে নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে কারা আসল ছাত্রলীগ। আমার বিশ^াস,সংগঠন এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিবে।
এই বিষয়ে পদত্যাগ না করা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাশেদ খান রাজু বলেন, বরকল উপজেলা সভাপতিও পদত্যাগ করেনি,তাই আমিও করিনি। আর জেলা সভাপতি সুজন ভাই ভারত থেকে ফোন করে আমাকে পদত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি আসলে সিদ্ধান্ত নিবেন জানিয়েছেন, এর বেশি কথা বলতে রাজি হননি রাজু।
তবে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা যদি কেউ না মানে, তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদেরকে এই বিষয়ে যে নির্দেশনা দিবে সেই অনুসারেই আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। লংগদুর বিষয়টি আমাদের নলেজে এসেছে, আমার বিষয়টির খোঁজ খবর রাখছি।