সুহৃদ সুপান্থ/আরমান খান
দুজনের কেউই এমন তীব্র রাজনৈতিক কর্মী নন,দলীয় পদ হয়ত আছে,কিন্তু সেই পদকে ব্যবহার কিংবা উপভোগের বিলাস ছিলোনা কখনই। ফলে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর তাদের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ বলাতেও নাখোশ তারা। তাদের দাবি তারা ‘স্বতন্ত্র’ই। তারা দুজন কুলিনমিত্র চাকমা আদু এবং কামাল হোসেন কমল।
লংগদু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান কুলিনমিত্র চাকমা আদু। বিখ্যাত ও সুপরিচিত হেডম্যান অনিল বিহারী চাকমার পুত্র কুলিনমিত্র চাকমা আদু লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হলেও,সেটা নামেই। তার পরিচিত, সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থান,সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা তাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ফলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশ তালিকায় এক নাম্বারেই ছিলো সর্বজনগ্রাহ্য এই নেতার নাম। কিন্তু রাজনৈতিক মিরাকলে তালিকায় না থাকা রতন কুমার চাকমাই নৌকা প্রতীক পাওয়ায় বিপাকে পড়ে সবাই। খোদ উপজেলা আওয়ামীলীগও হয়ে পড়ে অসহায়। যদিও রাজনৈতিক নিয়মেই তারা রতনের পক্ষেই কাজ করছে,কিন্তু বাস্তবতা হলো,রতনকে জিতিয়ে আনা বেশ কঠিনই হবে তাদের। ভোটের জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন কুলিনমিত্র চাকমাই। দলীয় চাপেও অনমনীয় থাকা কুলিন,যদি আরেক প্রার্থী অশোক কুমার চাকমা’র ভোটের এলাকা থেকে মোটামুটি বেশ কিছু ভোট আনতে পারেন,তবে ৭ ফেব্রুয়ারি দিনান্তে শেষ হাসিটা তিনিই হাসবেন। কারণ প্রায় অপরিচিত প্রার্থী নৌকার রতন দলীয় কর্মীদেরই সংঘবদ্ধ করতে পারেননি ভোটের একদিন আগেও। সুতরাং নেতাকর্মীদের কাছে অচেনা থাকা একজন প্রার্থীর জয় কঠিনই,যদিও দেশের ভোটের বাস্তবতায় অসম্ভবও নয় হয়ত। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো,কুলিনমিত্র চাকমা আদু নিজেই এক ব্র্যান্ড,ছোট্ট এই উপজেলায়,যাকে দল মত নির্বিশেষে পাহাড়ী বাঙালী সবাই আস্থার প্রতীকই মনে করেন এখনো,তাকে ঠিকঠাক ভোটে হারানো বেশ কঠিন বৈকি।
মাইনীমুখ ইউনিয়নের প্রার্থী শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন কোমল,এলাকাবাসির কাছে বেশ প্রিয় মুখ। মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকা কোমল সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনের উপ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তীব্র লড়াই করে হেরেছেন। এবার ভোটের মাঠে বেশ শক্ত প্রার্থীই তিনি। এরই মধ্যে এরশাদ সরকার ভোটের মাঠ থেকে সরে যাওয়ায়,তার সব ভোটগুলো শেষ পর্যন্ত নৌকার বাক্সেই যাবে,এমন আশাবাদ করা হয়ত যায়,কিন্তু বাস্তবতা হয়ত ভিন্নও হতে পারে। যদি মাইনী ইউনিয়নে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়,শাসকদলের কর্মীদের যদি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে আইনশৃংখলাবাহিনী,তবে এখানে নৌকার প্রার্থীর জয় বেশ কঠিন। স্থানীয় রাজনীতির বিশ্লেষকরা এখানে কোমলকে শক্ত প্রার্থী হিসেবেই এগিয়ে রাখছেন। তবে দেশের ভোটের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিবেচনায় নিলে,শাসক দলের যেকোন প্রার্থীকে হারানো খুব কঠিনই হয়ত। কিন্তু বিদ্রোহে বিপর্যস্ত লংগদু আওয়ামীলীগের অসুখী সংসারে এখন সবই সম্ভব। তাই এই সম্ভাবনার দৌড়ে মাইনীতে কামাল হোসেন কোমলই ‘বাজির ঘোড়া’।
এইমাত্র প্রকাশিতঃ
- আবারো রাতের আগুনে পুড়লো কলেজ গেইট বাজার
- বন্যার্তদের সহায়তায় বিএনপি’র অর্থ সংগ্রহ
- রাঙামাটিতে এপিবিএনের টহল কার্যক্রম শুরু
- কাউখালীতে আটক ১
- বান্দরবানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা
- লামা উপজেলা ও পৌর শ্রমিকলীগের কমিটি
- নানান আনুষ্ঠানিকতায় রাঙামাটিতে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত
- একটা গাছ কাটলে, দুইটা গাছ লাগাতে হবে: পার্বত্য মন্ত্রী