
রিকোর্স চাকমা
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়াম। যেটি জেলা শহরের রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। যাকে ঘিরে সকল খেলাধুলার আয়োজন হয়ে থাকে। তবে স্টেডিয়ামটি সম্প্রসারণের পরেও এখন পর্যন্ত অরক্ষিত রয়ে গেছে। নিদিষ্ট সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কেউ অনায়াসে গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারে। প্রধান সড়কের পাশ থেকে সোজা নেমে গ্যালারিতে প্রবেশ করা যায়। এতে কাউকে কোন ধরনের বেগ পেতে হয় না।
তাছাড়া গ্যালারির সকল গেইট সব সময় খোলা থাকে। মাঠে কাটা তারের কিছু অংশ এমন ভাবে নষ্ট করা যে কেউ চাইলে সরাসরি মাঠে ও প্রবেশ করতে পারবে। স্টেডিয়ামের গ্যালারি চারপাশে পর্যাপ্ত আলো ব্যবস্থা না থাকায় সে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নেশাগ্রস্ত ও অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য বখাটেরা বেছে নিচ্ছে গ্যালারিগুলোকে। সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে অন্ধকার। এরই সুযোগে বখাটেরা গ্যালারিতে বসায় অসামাজিক কার্যকলাপ ও বিভিন্ন মাদকের আড্ডা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্যালারির পাশে মাদক সেবনের বেশ কিছু পরিত্যক্ত জিনিস পড়ে আছে। তবে এ নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃপক্ষের গ্যালারি রক্ষণাবেক্ষণ ও মাঠ নিরাপদ রাখার নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। গ্যালারিতে হাঁটতে আসা অপূর্ব নামে একজন বলেন, স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো সবসময় খোলা থাকায় যে কেউ চাইলে সহজে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষ করে বিকেল বা সন্ধ্যা সময় ছেলে-মেয়েরা এখানে আছে আড্ডা দেয়। রাতে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ সম্পৃক্ত হয়।
সঞ্জীব নামে বয়স্ক এক ব্যক্তি বলেন, সন্ধ্যা হলে গ্যালারিগুলোতে অন্ধকার নেমে আছে সে সুযোগে কিছু ছেলেরা অনৈতিক কাজে গ্যালারিগুলো বেছে নেয়। ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃপক্ষ যদি মাঠের চারি পাশে লাইটের ব্যবস্থা করে। তাহলে বখাটেরা এসব করার সুযোগ পেত না। এ ব্যাপারে ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিউল আজম জানান, স্টেডিয়ামটি অরক্ষিত হওয়ার কারণে এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটা আমরা প্রশাসনকে মাঝে মধ্যে বলতাম। তারাও আসলে কতক্ষণ কী করবে। আমার সঙ্গে সভাপতি (জেলা প্রশাসক) মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যা যা করা দরকার করবো। কিছু দিনের মধ্যে কাজ আরম্ভ হবে। ডিসি স্যার নিজের উদ্যোগে নিজ থেকে ফান্ড দিয়ে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন উনি ঠিক করে দিবেন।
তিনি আরও জানান, আমাদের বর্ষাকালে মাঠটা রিজার্ভ রাখা দরকার কিন্তু আমরা পারি না। ওয়ালের কাঁটা তারগুলো অরক্ষিত হওয়ায় বাচ্চারা মাঠে ঢুকে যায়। তো এগুলো সব আমরা সপ্তাহ ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাজ ধরে ফেলবো। আমাদের ওই ধরনের জনবল নেই। যে প্রতিদিন গিয়ে মাঠে পাহারা দিবেন। আমার নিজের থেকেও খারাপ লাগে এ ধরনের একটা ক্রীড়াঙ্গনে যদি এই রকম অবস্থা হয়। আমরা খুব শীঘ্রই কাজ করার পরে এটা চেষ্টা করবো বন্ধ করার জন্য।