আরমান খান, লংগদু ॥
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন মাইনীমূখ ও গুলশাখালীর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. এরশাদ সরকার ও রকিব হোসেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদ বাংলোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন এরশাদ সরকার এবং রকিব হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদ সরকার বলেন, আমি মাইনীমূখ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। জনগণের চাপে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। এখন দলের স্বার্থ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। তবে জেলা কমিটির কাছে আমার অনুরোধ ইতোমধ্যে যাদেরকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাদেরকে আবারও স্বপদে পুনর্বহাল করা হোক।
গুলশাখালী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রকিব হোসেন বলেন, গুলশাখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলামকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এবং আমার অনুসারীদের অনুরোধ করছি নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করতে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদ্য অব্যহতি পাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার এবং সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রহিম।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, আমি ও আমার পরিবাররে সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘদিনের শ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে দলকে আজ একটা অবস্থানে নিয়ে আসছি। আমার বা আমার পরিবারের কারণে দলের কোনো ক্ষতি হোক তা আমি চাই না। দলের স্বার্থে আমি আমার ভাতিজাকে নির্বাচন থেকে ফিরিয়ে এনেছি।
উল্লেখ্য, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সভায় উপজেলার আট নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই অব্যাহতির দুই দিন পরেই নির্বাচন থেকে সরে গেলেন বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদ সরকার ও রকিব হোসেন।