গত পৌরসভা নির্বাচন থেকে বিরোধের শুরু। সেই থেকে দলীয় কর্মসূচি আলাদাভাবে পালন করে আসছিল খাগড়াছড়ি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ। দীর্ঘ আড়াই বছর পর ঐক্য এসেছে দলটিতে। এখন একসাথে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি। দলে ফিরে আসা নেত্রীরা বলছেন কেন্দ্রের নির্দেশে এবং ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা মুল ¯্রােতে ফিরেছেন। এদিকে ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ।
জানা যায়, ২০১৫ সালের খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের পর থেকে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ক্রইসাক্রো মারমা ও সাধারণ সম্পাদক শাহিনা আক্তারসহ বেশ কয়েকজন নেত্রী মুল দল থেকে আলাদা হয়ে যান। তাঁরা জেলা আওয়ামীলীগের সাময়িক বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তার দুই ছোট ভাই পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল আলম এবং জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমদের সাথে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। মহিলা আওয়ামীলীগের অপর অংশ মূল আওয়ামীলীগের সাথে কর্মসূচি পালন করে আসছিল। এই নিয়ে দু পক্ষ থেকে দফায় দফায় কেন্দ্রে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও দেয়া হয়। কিন্তু সর্বশেষ গত মাসে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগ থেকে জেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদককে মূল ¯্রােতের সাথে মিলে দল পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।
অবশেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ১৩ আগস্ট জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর মাটিরাঙ্গায় উপজেলা আওয়মীলীগের এক সভা এবং সর্বশেষ ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সবাই একসাথে কর্মসূচি পালন করে। এতে স্বস্তি ফিরেছে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে।
এই বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেনা আক্তার বলেন, আমরা মূলত পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগের বিরোধপূর্ণ অবস্থানে যেতে চাইনি বলে আলাদা থেকেছি। তবে সেটি আমাদের ভুল ছিল। এখন কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে মূল ¯্রােতের সাথে থেকে দলের হাতকে শক্তিশালী করি। এছাড়া আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি আগামী নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসন উপহার দেবো। তাই এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে দল পরিচালনা করবো।
এদিকে মূল ধারায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের অন্য নেত্রীবৃন্দ। মহিলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নিগান সুলতানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাসন্তী চাকমা বলেন, ‘মুল ধারার বাইরে গিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা ফিরে আসায় আমরা তাদের স্বাগত জানায়। তবে তাঁরা মন থেকে ফিরে এসেছে কিনা সেটি সন্দিহান থেকেই যায়। তারপরও আমরা অতীত ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করতে পারবো বলে আশা রাখি।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘ঘরের মানুষ ঘরে ফিরেছে। আমরা তাদের স্বাগত জানায়। মূল ধারার বাইরে বেশি দিন থাকা যায় না। সবার ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।