তৌসিফ মান্নান ॥
রাঙামাটির বরইছড়ি সড়কের ওয়াগ্গা ইউনিয়নের দেবতাছড়ি এলাকার মুল সড়ক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার ভিতরে খানাখন্দকে ভরা কাঁচা রাস্তা দিয়ে গাড়ি করে অথবা হেঁটে যাওয়ার পরে পাহাড়ের ছড়া দিয়ে আরো এক কিলোমিটারের মতো হেঁটে হেঁটে মনোরম পরিবেশে সেই গুহায় পৌঁছাতে হয়। দূর থেকে গুহার মুখটি দেখতে খুবই চমৎকার।
গুহার ভেতরের মাঝখানে বিশাল ছড়া দিয়ে কলকল শব্দ করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। চারিদিকে খেয়াল করে দেখলে বোঝা যায় আসলে এটি গুহা না, এটা হলো প্রাকৃতিকভাবে দুই পাশে পাহাড় বেষ্টিত একটি সরু পথ বা গুহা। এক কথায় দুই পাহাড়ের মাঝখানে এটি একটি সরুপথ। উপরের অংশটা বড় বড় গাছে ঢেকে আছে। প্রকৃতপক্ষে এইটা গুহা না হলেও কোনদিক থেকে এটা একটা বিশাল গুহার চেয়েও কম না।
ভেতরে অনেক ঠান্ডা এবং কিছুটা অন্ধকারও বটে। যে কোন মানুষ দুই পাশে পাহাড় বেষ্টিত এই গুহার চমৎকার পরিবেশ এবং সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হবেন।
দেবতাছড়ি এলাকার বাসিন্দা আপন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, এইটা দেবতাছড়ি গুহা নামেই সবাই জানেন। পরিচিতির অভাবে অনেকে জানেন না এই গুহার কথা। গুহায় যাওয়ার রাস্তাটা ও তেমন ভালো না হলেও গুহাটির চমৎকার সৌন্দর্য দেখে সকলের মন আনন্দে ভরে উঠে। তবে প্রতিদিন অনেক পযর্টক আসেন এই গুহাটি দেখার জন্য।
জোতি চাকমা নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই গুহা রক্ষণাবেক্ষণ করেন বা একটু সুনজর দিলেই এই গুহার আকর্ষণ আরো বাড়বে এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো অনেক পর্যটক আসবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই গুহা দেখার জন্য।