শনিবার আছিয়া বেগম গং এর সংবাদ সম্মেলনে অপকর্ম ঢাকতেই মিথ্যা, বানোয়াট, তথ্য প্রদান করেছে দাবি করে এর প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন লাল মিয়া। সোমবার দুপুরে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে লাল মিয়া এ দাবি করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই আছিয়া গেবম আমার বিরুদ্ধে মন গড়া অভিযোন উত্থাপন করেছেন। আমাকে গ্যাং লিডার আক্সক্ষা দিয়েছেন, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বালুখালী ইউনিয়নে সুনামের সহিত আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কেপকো আজিজ লিমিটেডের মানে যে আট একর জায়গায়া আছে সেখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মূলত কেয়ারটেকার নেজাম উদ্দিনকে গত ২৫ জুন রাতে আছিয়া বেগম ও তার পুত্র মেরে আহত করলে আমরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছিলাম সেটাই আমার জন্য কাল হয়েছে। সে কারণেই তারা আমার নামে এহেন অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, আছিয়া বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সাপমারা পাহাড়ে কেপকো আজিজের কোন জায়গা নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ৮ একর জায়গা আছে, সেখানে তাতের স্থাপনাও আছে। আজিয়া বেগম এই জায়গা দখরের পায়তারা করছে। আমি জানতে পরেছি আছিয়া বেগম উক্ত জায়গা তার দখলীয় এমন তথ্য দিয়ে রিজার্ভ বাজারের নাসির উদ্দিনের নিকট বিক্রয় করে আগ্রিম ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। বাকি টাকা দখল বুঝিয়ে দেবার পর পাবেন এমন কথা ছিল। কিন্তু কেপকো আজিজের কেয়ারটেকারের কারণে সে জায়গা দখলে নিতে পারছেনা বিধায় যেন তেন উপায়ে ওই কেয়ারটেকারকে বিতারিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে আছিয়া বেগম ও তার পরিবার। অপর দিকে নাসির উদ্দিন জায়গার প্রকৃত কাগজ দেখতে পেয়ে আছিয়া বেগমকে টাকা ফেরত দিতে চাপ দিচ্ছেন। টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে নাসির রাঙামাটি কোতয়ালি থানাতেও গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, জায়গা সংক্রান্ত ঝামেলা কেপকো এবং আছিয়া বেগমের, সেখানে আমাকে কেন টেনে এনে সন্ত্রাসীর গড ফাদার বলা হচ্ছে সেটা আমার বোধগম্য না। ওই পাহাড়ে বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কাজ ও নেশার জন্য রাঙামাটি থেকে মানুষ যাতায়াত করে, আমরা সকলে এর প্রতিবাদ করাতেই আমাকে এ সব ঝামেলায় প্যাঁচানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাপমারা পাহাড়ের সকল ঘটনা আমি আমাদের দলের প্রায় সকল সিনিয়র নেতাকে অবহিত করেছি, তারা বিষয়টি জানেন। আমি এই সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশাসনে প্রতি অনুরোধ করবো এই অচ্যাচারী মহিলা ও তার পরিবারে হাত থেকে আমাদের তথা সাপমারা পাহাড়ের বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
সংবাদ সম্মেলনে লাল মিয়া ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, কেপকো আজিজের কেয়ারটেকার নেজাম উদ্দিন, এলাকাবাসীর পক্ষে মো. জামাল হোসেন, মো. নাছির উদ্দিন প্রমুখ।