ঘড়ির কাঁটার উল্টা দিক ঘুরে ঘুরে চলে যাই আমি পিছন থেকে আরও পিছনে
সেখানে আমার অনেকের সাথেই দেখা হয়,
কাউকে চিনতে পারি, কাউকে পারিনা
কাউকে আপন মনে হয়, কাউকে হয় না ।
পিছনের সকাল গুলো খুব শুভ্র, এখনকার মত মেঘে ঢাকা না
আর দুপুর—- সে ঝকঝকে রোদেলা
বিকেল—–
গোলাপী আভায় পূর্ণ, সদ্য ফোটা গোলাপী গোলাপ ।
আমি ফিরে যাই রাতের জোনাক দলে
দেখা হয় পিছনে ফেলা আসা নক্ষত্রদের সাথে
ওরা আর আমাকে চিনতে পারেনা,
শুধুই তাকিয়ে থাকে আমার বর্তমান মুখশ্রীতে ।
আমি সন্ধ্যার সাথে একটু দেখা করবার আশায় বসে থাকি বিকেল অবধি
তখনকার ঘরে ফেরা পাখিরা আমায় হাত ইশারা করে
ওরাও যেন আগের মত আমাকে আপন ভাবে না,
সন্ধ্যায় ফোটা ফুল গুলো নির্বাক তাকিয়ে থাকে
কি যেন জানতে চায়, এমন ভঙ্গিমায় ।
আমি আবার ঘড়ির কাঁটার হাত ধরে ফিরে আসি বর্তমানে
আবার বাস্তবতাকে সঙ্গী করে চলি জীবন যেখানে
কখনো ভাল লাগে, কখনো লাগেনা
কখনো কখনো কাউকে আপন ভাবি, কাউকে ভাবিনা
এই হচ্ছে অতীতে ফেরা-
এই হচ্ছে জীবনধারা ।।