ব্রেকিংরাঙামাটিলিড

অগ্নিসংযোগকারিদের শাস্তি চায় অগ্নিদুর্গতরা

রাঙামাটির লংগদুতে সাম্প্রদায়িক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দোষীদের যথাযথ বিচার, পাহাড়িদের নামে দায়েককৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেসমূহকে আরো তিন বছর রেশন সহায়তা প্রদানসহ যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

শনিবার সকালে লংগদু উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপি এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসেরর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ৭নং লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুলিন মিত্র চাকমা (আদু), ১নং আটারকছাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, ২৪নং মাইনীমুখ মৌজার হেডম্যান মানিক কুমার চাকমা, ৩নং লংগদু মৌজার কার্বারী অশ্বিনী কুমার চাকমাসহ ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি গ্রামের লোকজন।

মানববন্ধনে ১নং আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটনায় দুটি পৃথক মামলায় ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হলেও একজন ব্যতীত সবাইকে জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনো ঘটনার মূলহোতা অধিকাংশ আসামী এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতরা করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।

৭নং লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুলিন মিত্র চাকমা (আদু) বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবর থেকে ১ বছরের জন্য প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাউল ভিজিএফ এর মাধ্যমে বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু কঠিন বাস্তবতার কথা বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহকে আরো তিন বছরের জন্য রেশন বরাদ্দ করাসহ যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।

২৪নং মাইনীমুখ মৌজার হেডম্যান মানিক কুমার চাকমা স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান ও পরে লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাদ্দেক মেহ্্দী ইমাম এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ জুন লংগদু সদর ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন ভাড়া নিয়ে দুইজন পাহাড়ী যাত্রী খাগড়াছড়ি যাওয়ার পর বিকেলে খাগড়াছড়ি চার মাইল এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়। পরের দিন ২ জুন তার লাশ নিয়ে জানাজার জন্য বাইট্টাপাড়া থেকে লংগদু উপজেলা পরিষদ মাঠে রওনা দিলে তিনটিলা পাড়া অতিক্রম করার সময় মিছিল থেকে হঠাৎ করে পাহাড়িদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ৩টি গ্রামের ২১৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার মোট ১৭৬টি বসতঘর নির্মান করার জন্য মোট ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। যার কাজ গত ৩০ মে শুরু হয়েছে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

ি কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 13 =

Back to top button